খেলা-ধূলা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত কয়েক মাস ধরেই রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে যুদ্ধের পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে। ইউক্রেন সীমান্তে প্রচুর সেনা এবং অস্ত্রের সমাবেশ করেছিল রাশিয়া। এরপর যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ন্যাটো সদস্য কয়েকটি দেশ এবং আমেরিকা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে সেনা পাঠাতে শুরু করে। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এরপরেই রাশিয়া ঘোষণা করে তারা মহরা দিতেই সেনা পাঠিয়েছিল। মহরা শেষ, এবার সেনা দেশে ফেরত আসবে। এরপরেই মনে হয়েছিল তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা কেটে গেল। কিন্তু মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের দাবী রাশিয়া যে সেনা প্রত্যখান করেছে, তার সত্যতা নেই। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরানো তো দূরের কথা, এখনও ক্রমাগত সেনা পাঠিয়ে যাচ্ছে মস্কো। ইউক্রেন সীমান্তের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত ১৪টি ঘাঁটি বানিয়েছে রুশ ফৌজ। দ্রুত সীমান্তে সেনা পাঠাতে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী সেতু।
রাশিয়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং আগামি কয়েকদিনের মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানি কিয়েভে হামলা চালাবে রাশিয়া। ইতিমধ্যেই খবর পাওয়া গিয়েছে ইউক্রেনের পূর্ব প্রান্তের শহর ডেনেটাস্কে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার বিদ্রোহীরা। রাশিয়া সরকারের মদতেই এই হামলা বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম। যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র আইগর কোনাশেনকেভ যুদ্ধের সম্ভবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মহড়া শেষ হওয়ায় রাশিয়া সেনা প্রত্যহার করছে। কিন্তু সাম্প্রতিক উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্ত বরাবর বিমান ঘাঁটিগুলিতে জড়ো হয়েছে বিপুল সংখ্যায় রুশ যুদ্ধবিমান। এই ঘটনাকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ সেনার ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ বলেই মনে করা হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, সুখোই-৩০, মিগ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং সামরিক হেলিকপ্টারের পাশাপাশি নানা সামরিক সরঞ্জামও মজুত করা হচ্ছে সেখানে।