বিনোদন
বিয়ের পরই আইনি নোটিস!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সদ্যই বিয়ে করলেন দক্ষিণী ছবির জনপ্রিয় নায়িকা নয়নতারা ও পরিচালক ভিগনেশ শিবান। কিন্তু বিয়ের পর একি হল?
জানা গিয়েছে, বিয়ের পরই তিরুপতি মন্দির দর্শনে যান নবদম্পতি নয়নতারা এবং ভিগনেশ। আর তারপরই বিতর্কে জড়ান তাঁরা। তাঁদের আইনি নোটিসও দেওয়া হয়। ৯ জুন মহাবলীপুরমে দক্ষিণী রীতিনীতি মেনে বিয়ে করেন দু’জনে। বিয়ের পর নেটমাধ্যমে ছবি শেয়ার করেছিলেন নয়নতারা। লিখেছিলেন, ‘আমরা বিবাহিত।’ ১০ মে নয়নতারা নিজের স্বামীর সঙ্গে তিরুপতি মন্দিরে গিয়েছিলেন। হাতে হাত রেখে মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন সদ্য বিবাহিত দম্পতি। তাঁদের মন্দিরে যাওয়া নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত।
দক্ষিণী অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মন্দির চত্বরে জুতো পড়ে হেঁটেছেন তিনি। তিরুপতি মন্দিরের অন্দরে এমনিও হাজার নিয়ম রয়েছে। চিফ ভিজিলেন্স অফিসার নরসিংহ কিশোর জানিয়েছেন, মন্দিরের মাদা স্ট্রিট সংলগ্ন এলাকায় অভিনেত্রী জুতো পায়ে হেঁটেছেন। এই জায়গাটি অত্যন্ত পবিত্র, উনি কী করে এই কাজ করলেন? শুধু তাই নয়! তিরুপতি মন্দিরের চরম নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন নয়নতারা ভিগনেশ। মন্দিরের ভেতরে ফটো তোলা নিষেধ, এদিকে তাঁরা নিজেদের ফটোগ্রাফার সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। এহেন কাজে ক্ষুব্ধ তিরুপতি কর্তৃপক্ষ। সেই প্রেক্ষিতেই নয়নতারা ও তাঁর স্বামী ভিগনেশের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ জারি করা হয়েছে।
তবে মন্দিরের নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ভিগনেশ। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘বিয়ের পর, আমরা বাড়ি না গিয়ে সোজা তিরুপতি মন্দিরে গিয়েছিলাম এবং এজুমালয়ানে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম। এরপর মন্দির থেকে প্রচুর মানুষ বেরিয়ে এসে আমাদের ঘিরে ফেলে। তাই আমরা সেখান থেকে রওনা দিই। কিছুক্ষণ পর আবার এজুমালয়ান মন্দিরের সামনে আসি। আমরা তাড়াতাড়ি ফটোশ্যুট শেষ করে সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ ভক্তরা আমাদের দেখলে আবার ঘিরে ফেলবে। এসবের মধ্যে আমরা পায়ের জুতোর দিকে নজর দিতে পারিনি। আমরা জুতা পরে হেঁটে ফেলেছি, আর ওই জায়গায় জুতা পরা নিষিদ্ধ ছিল। অসুবিধার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। বিয়ে করার ইচ্ছা নিয়ে আমরা গত মাসে পাঁচবার তিরুপতি গিয়েছি। নানা কারণে তিরুপতি মন্দিরে আমাদের বিয়ের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি’।