মহানগর
নতুন বছরেই কলকাতায় মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন! ঘোষণা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : নতুন বছরের শুরুতেই কলকাতায় ফিরতে চলেছে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন! গত দু’দিন ধরেই রাজ্যের পাশাপাশি কলকাতাতেও লাফিয়ে বেড়েছে করোনা ও ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই পরিস্থিতিকে বিবেচনা করেই কলকাতায় আবারও কনটেইনমেন্ট জোন এবং সেফহোম চালু করার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা।
শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজেই এই ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার গঙ্গাসাগর থেকে কলকাতায় ফেরার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিচার করে নতুন বছরে কনটেইনমেন্ট জোন চালু করা পরামর্শ দিয়েছিলেন। নতুন মেয়র জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভায় দ্রুত শুরু হচ্ছে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন তৈরির কাজ। যে সব অঞ্চলে অন্তত ৫ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, সেই জায়গা গুলোকেই মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। মোট ১৭টি এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আগামী মঙ্গলবারের পর সেই জায়গা গুলোকে সিল করে দেওয়া হবে। মহানগরীর ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণকে ঠেকাতে শুক্রবারই কলকাতা পুরনিগমে বৈঠকে বসে ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার-সহ পুরসভার স্বাস্থ্য কর্তা ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বর্ষবরণের সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিটেও যান কলকাতার মহানাগরিক। সেখানে মাস্ক বিলির পাশাপাশি মাইক হাতে মানুষকে সচেতন করতেও দেখা যায় তাঁকে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতার মেয়র জানিয়েছেন মহানগরীতে উপসর্গহীন করোনা রোগীর সংখ্যাই বেশি। ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘কয়েকদিনে শহরে সংক্রমণ বেড়েছে।
তাই শহরে আবার আইসোলেশন হোমগুলো খোলা হচ্ছে। জ্বর, সর্দি, কাশি হলেও কলকাতার ৮০ শতাংশ রোগীর মধ্যেই কোনও উপসর্গ নেই। ২০ শতাংশের মধ্যে উপসর্গ রয়েছে। আবার তার মধ্যে তিন শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে। এখন পাঁচদিনে করোনা নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছে। বস্তি নয়, বহুতলেই বেশি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। তাই আবাসন গুলিকে বারবার স্যানিটাইজেশনের কাজ করবে পুরসভা।’