বাংলার খবর
রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকা, লক্ষীর ভান্ডারের টাকা পেতে হলে মানতে হবে এই নতুন নিয়মগুলো!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষের সরকার চালু করেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। গত বছরে চালু হওয়া এই প্রকল্পে এবার এল নয়া নির্দেশিকা।
রাজ্য সরকারের তরফে নতুন নিয়ম সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রকল্পের আবেদনকারীদের এবার থেকে ব্যাঙ্কে সিঙ্গল আ্যকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক। এবং অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ থাকাটা আবশ্যিক। সম্প্রতি, জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মূলত দুয়ারে সরকার নিয়ে হয় সেই বৈঠক। এই বৈঠকের পরই মুখ্যসচিব এই নতুন নিয়ম সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেন। আসলে অনেক আবেদনকারী অভিযোগ করেছেন যে তাঁদের জয়েন্ট আ্যকাউন্ট যাঁর সঙ্গে আছে, তাঁরা অনেক সময় না জানিয়েই আবেদনকারীর টাকা তুলে নিচ্ছেন। এই অভিযোগের কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ বলে নবান্ন সূত্রে খবর। রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার আগেই এই প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে প্রথমে বলা হয়েছিল সকলেই আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু পরে বলা হয়, যাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড আছে সেই সকল মহিলাদের মধ্যে যাদের বয়স ২৫ থেকে ৬০, তাঁরাই কেবলমাত্র আবেদন করতে পারবেন এই প্রকল্পে। তফসিলি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা পাবেন মাসে ১০০০ টাকা এবং সাধারণ মহিলারা পাবেন মাসে ৫০০ টাকা। গত অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী ১ কোটি আবেদনকারীর আ্যকাউন্টে লক্ষীর ভান্ডারের টাকা ঢুকেছে। এই প্রকল্পে গত অক্টোবরে হিসাব অনুযায়ী মোট খরচ হয়েছে ১ হাজার ৮২ কোটি টাকা। রাজ্যের কোনও মহিলাকে যাতে পুরোপুরি ভাবে কারও ওপর নির্ভর করতে না হয়, সেই কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ। এই টাকা বাংলার মা-বোনদের নিজের টাকা, নিজের প্রাপ্য, নিজের অধিকার। সেখানে যাতে অন্য কেউ হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেই কারণেই এই নয়া নির্দেশ। যা মা-বোনদের মুখের হাসিকে আরও সুদীর্ঘ ও মজবুত করবে।