আন্তর্জাতিক
ফুচকা থেকে ছড়াচ্ছে কলেরা, সাধের ‘পানিপুরি’ বিক্রি নিষিদ্ধ সরকারের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ‘ফুচকা’ মাত্র তিন অক্ষরের জলেভরা মুখোরোচক এই খাবারটি খেতে পছন্দ করেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া বেশ দুস্কর। দুপুর হোক কিংবা সন্ধ্যা, ফাস্টফুড হিসেবে পানিপুরি সবার ঊর্ধ্বে তা বলাই বাহুল্য।
এবার এই জলেভরা পানিপুরিতে পড়তে চলেছে কোপ। কলেরা আতঙ্কের জেরে রাজধানী শহরে বন্ধ হতে চলেছে ফুচকার মতো জনপ্রিয় মুখোরোচক খাবারের ব্যবসা। তবে আমাদের রাজধানী নয়। কলেরার কারনে ফুচকা বিক্রি বন্ধ হতে চলেছে নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডু শহরে। প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকা জারি করে এমনটাই জানানো হয়েছে।
ভারতের পড়শি দেশ নেপালের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কাঠমাণ্ডুর ললিতপুর মিউনিসিপাল কর্পোরেশন এলাকায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য ‘ফুচকা’ (পানিপুরি) বিক্রিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কাঠমাণ্ডু শহরের বিভিন্ন এলাকায় দিন দিন বাড়ছে কলেরা আক্রান্তের সংখ্যা। শুধু তাই নয়, ললিতপুর সিটির বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর এলাকায় পানিপুরি বিক্রি করা হয়। এমনকি ফুচকার জলে পাওয়া গিয়েছে কলেরার জীবাণু। তার জন্য কলেরা সংক্রমণ মোকাবিলায় ললিতপুরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই ফুচকা।
আরও পড়ুন: ভাঁড়ে মা ভবানী দশা! তেল সংগ্রহের জন্য টোকেন নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়াতে হচ্ছে লাইনে
জানা গিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত কাঠমাণ্ডু শহরে নতুন করে ৭ জন কলেরা আক্রান্ত হয়েছেন। যার ফলে পাহাড় পর্বতের এই দেশে এখনও পর্যন্ত মোট কলেরা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জন। যার ফলে সচেতনতা বাড়াতে আপাতত ললিতপুর মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের তরফে ওই এলাকায় ফুচকা বিক্রি নিষিদ্ধ বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাক থেকে উদ্ধার ৪৬টি মৃতদেহ, মৃত্যুর কারন নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ
উল্লেখ্য, ডায়রিয়া, কলেরার মতো রোগের উপদ্রব সাধারণত গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষাকালে বেশি ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে নেপাল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কাঠমাণ্ডু শহরের বিভিন্ন এলাকায় ফুচকা বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, জলবাহিত যে কোনও রোগ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করানোর নির্দেশও দিয়েছে নেপাল সরকার।