রেকর্ড গড়েই নাইটদের ফাইনালে যাওয়ার আশা উজ্জ্বল করলেন নারিন, বিদায়বেলায় বিরাটের গলায় ভবিষ্যতের বার্তা
Connect with us

খেলা-ধূলা

রেকর্ড গড়েই নাইটদের ফাইনালে যাওয়ার আশা উজ্জ্বল করলেন নারিন, বিদায়বেলায় বিরাটের গলায় ভবিষ্যতের বার্তা

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ইউএই-তে ১৪তম আইপিএল-এর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হওয়ার আগেই জানিয়েছিলেন, এই মরসুমের পর আর আরসিবি-র অধিনায়ক থাকতে চান না। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে নিজের শেষ মরসুমেও ট্রফি অধরাই থেকে গেল বিরাট কোহলির। এ বারের আইপিএল থেকেও তাঁকে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। সোমবার শারজায় এলিমিনেটর ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে ৪ উইকেটে হেরে যাওয়ার পরই এবারের আইপিএল থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। ক্রিকেটের ২২ গজ বিরাটকে অনেক সাফল্য রেকর্ড, খ্যাতি, যশ, সম্মান এনে দিয়েছে।

কিন্তু আইপিএলে আরসিবির ট্র্যাজিক হিরো হয়েই থেকে গেলেন বিরাট। সোমবার নাইটদের বিরুদ্ধে ব্যাটিং ও বোলিং- দুই বিভাগী ব্যর্থ হওয়ায় এবারও মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হল বিরাট সহ গোটা আরসিবি দলকে। তবে বলা ভালো, সুনীল নারিনের অলরাউন্ড পারফরমেন্সই নাইটদের ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করল। এই জয়ের ফলে দ্বিতীয় প্লে-অফে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হবে কেকেআর। সেই ম্যাচের বিজয়ীরাই ফাইনালে খেতাবি লড়াইয়ে নামবে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে। সোমবার ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেওয়ার পর ১৫ বলে ৩ ছক্কা সহ ২৬ রান করে বিরাট দের বিদায় নিশ্চিত করে দেন ম্যাচের সেরা নারিন। সোমবার আইপিএল-এ সবচেয়ে বেশি বার চার উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও গড়লেন নারিন। এই নিয়ে আইপিএল-এ আট বার চার উইকেট নিলেন তিনি।

টপকালেন লসিথ মালিঙ্গাকে। শ্রীলঙ্কার এই জোরে বোলার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে সাত বার চার উইকেট নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রথম স্পিনার হিসেবে আরসিবি’র বিরুদ্ধে তিন বার চার উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই স্পিনার। ২০১৩ ও ২০১৪ সালের আইপিএল-এ দুই বার আরসিবি-র বিরুদ্ধে চার উইকেট নিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে রাঁচিতে ২২ রান দিয়ে চার উইকেট নেন তিনি। ২০১৪ সালে কলকাতায় ২০ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছিলেন এই ক্যারিবিয়ান স্পিনার। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরাট। সেইমতো দুরন্ত ফর্মে থাকা দেবদত্ত পারিক্কলকে নিয়ে শুরুটা ভালোই করেছিলেন বিরাট। ওপেনিং পার্টনারশিপে ৪৯ রান ওঠার পরই দেবদত্তকে (২১) ফিরিয়ে আরসিবি শিবিরে প্রথম ধাক্কাটি দেন লকি ফার্গুসন। এরপরই শুরু হয় নারিনের স্পিনের জাদু।

Advertisement

বিরাট (৩৩ বলে ৩৯), শ্রীকর ভরত (৯), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১৫) এবং এবি ডি’ভিলিয়ার্সের (১১) মতো ব্যাটিংয়ের চার মূল স্তম্ভকে ফিরিয়ে দিয়ে আরসিবি’র বড় রান তোলার রাস্তা বন্ধ করে দেন ক্যারিবিয়ান স্পিনার। শাহবাজ আহমেদকেও (১৩) দ্রুত ফিরিয়ে দেন ফার্গুসন। ফলে ৭ উইকেটে ১৩৮ রানেই থেমে যায় আরসিবির ইনিংস। কেকেআরও শুরুটা ভালো করেছিল। বেঙ্কটেশ আয়ার এবং শুভমন গিল আগের ম্যাচগুলির মতোই ভরসা দিয়েছিলেন দলকে। ওপেনিং জুটিতে ৪১ উঠে যায়। পরপর দু’ওভারে শুভমনকে (২৯) হর্ষল প্যাটেল এবং রাহুল ত্রিপাঠিকে (৬) যুজবেন্দ্র চাহাল ফিরিয়ে দিলেও কেকেআর চাপে পড়েনি। কারণ, বেঙ্কটেশ ইতিমধ্যেই ব্যাট হাতে ভরসা দিয়েছেন দলকে। কেকেআর ইনিংসের মাঝামাঝি সময়েই ম্যাচ জিততে প্রতি বলে এক রান দরকার ছিল কেকেআর-এর। মাথা ঠান্ডা করে খেললেই হত। কিন্তু অকারণে ঝুঁকি নিতে গিয়ে উইকেট খোয়ালের বেঙ্কটেশ (২৬) এবং নীতীশ (২৩)। এবারও দু’জনকে ফেরালেন যথাক্রমে হর্ষল এবং চাহাল।

যদিও বেঙ্কটেশ ফেরার পরের ওভারেই সিরাজকে তিন ছক্কা সহ ২২ রান নিয়ে নাইটদের পক্ষে ম্যাচ নিয়ে চলে আসেন নারিন। তবে ১৮ তম ওভারের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে নারিন ও দিনেশ কার্তিককে (১০) ফিরিয়ে দিয়ে নাইট শিবিরে কিছুটা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সিরাজ। শেষ ওভারে নাইটদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৭ রান। ২ বল বাকি থাকতেই সাকিব আল হাসান (৯) ও অধিনায়ক ওইন মর্গ্যান (৫) মিলে দ্বিতীয় প্লে-অফে দিল্লির মুখোমুখি হওয়া নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। অধিনায়ক হিসেবে আইপিএলে শেষ ম্যাচ খেলার পরই বিরাট বলেছেন, ‘আমি সব সময় চেষ্টা করে গিয়েছি, যাতে নতুন ক্রিকেটাররা উঠে আসে এবং নিজেদের মেলে ধরে। ভারতের হয়েও আমি একই কাজ করেছি। এটুকু বলতে পারি, আমি আমার ১২০ শতাংশ দিয়েছি আরসিবি-র জন্য। পরেও ক্রিকেটার হিসেবে দেব। দলের দায়িত্ব যে নেবে, এটাই তার জন্য সেরা সময়। তবে বিশ্বাসযোগ্যতা সবচেয়ে বড় কথা। আমি যতদিন আইপিএল খেলব, ততদিন আরসিবি-র হয়েই খেলব।’

Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.