লাইফ স্টাইল
মায়ের আশীর্বাদই মহৌষধ! সফলতা পাওয়ার জন্য
নিউজ ডেস্ক : এই সময় আপনি কি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন? আর আপনি কি হতাশাগ্রস্ত? আপনি কি নিজেকে একজন ব্যর্থ মানুষ মনে করছেন? নিজের কাজকর্ম নিয়ে আপনি একদমই সন্তুষ্ট নন? তাহলে আপনি এই ব্যক্তিদের উক্তিগুলো পড়ুন এবং তা মেনে চলুন, যা নিশ্চিতভাবে আপনার জীবন বদলে দেবে।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিন বলেছেন, তাঁর জীবনের উত্থানের পেছনে কাজ করেছে তাঁর বাবার তিনটি উপদেশ। তাঁর বাবা তাঁকে বলেছিলেন, মনে রেখো, কৃতজ্ঞতা ও ঋণ স্বীকার করা মানুষের শ্রেষ্ঠ ধর্ম। তুমি জীবনে যদি অন্যের জন্য ভাবো, অন্যকে দাও; তাহলে জীবনও তোমাকে নিয়ে ভাববে। তোমাকে অনেক কিছু ফিরিয়ে দেবে।
শি জিনপিন তাঁর বাবার উপদেশগুলো অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছেন এবং তিনি ছোটবেলা থেকেই অন্যের কথা সব সময় ভাবতেন। কিভাবে অন্যের উপকার করা যায় তা নিয়ে একাগ্র চিন্তা করতেন। সত্যি সত্যিই জীবন তাঁকে বহুগুণ ফিরিয়ে দিয়েছে। তিনি সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছতে পেরেছেন।
মুকেশ আম্বানির নাম নিশ্চয়ই সবাই জানেন, তিনি হলেন বিশ্বের বড় ধনীব্যাক্তিদের মধ্যে একজন। মুকেশ আম্বানি বলেছেন, যার ওপর মায়ের আশির্বাদ আছে সে জীবনে সফল হবেই। আমি নিজেও বিশ্বাস করি, মায়ের আশির্বাদ-এর চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র আর হয় না আর জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য মায়ের আশির্বাদের চেয়ে আর কোনো মহৌষধ নেই।
আরও পড়ুন – গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজন মতো টাকা কিনছেন! জানেন কেন ?
যে সন্তান যতবেশি মায়ের আশির্বাদ নিতে পারে সে তার জীবনে ততবেশি সফলতা অর্জন করবে। মা প্রত্যেক সন্তানকেই সমান দৃষ্টিতে দেখেন। কিন্তু যে সন্তান সবচেয়ে বেশি মাকে ভক্তি করেন, তাঁকে দেখভাল করেন, মায়ের প্রতি যত্ন নেন সেই সন্তানের ওপর মায়ের আশির্বাদবেশি থাকে। যার ঘরে মা আছেন কিন্তু সে মাকে অবহেলা করে তার মতো অভাগা সন্তান আর হয় না।
যাদের ঘরে এখনো মা জীবিত আছেন তাদের উদ্দেশে বলছি, কেউ মনের ভুলেও যদি মাকে অবহেলা-অসম্মান করে থাকেন তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিন। মাকে কখনোই কষ্ট দেবেন না। অবহেলা করবেন না। আপনি হয়তো অনেক বড় হয়েছেন; বিশাল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন। ভেবে দেখুন, তার পেছনে আপনার মায়েরই অবদান।
আমেরিকান বিজনেস ম্যাগনেট স্টিভ জবস জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু উক্তি করেছিলেন সেগুলো মেনে চললে হয়ত সত্যিই জীবন বদলে যেতে পারে। স্টিভ জবস বলেন, যখন আপনি কিছু উদ্ভাবন করবেন তখন আপনার কিছু ভুলও হবে নিশ্চিত। সবচেয়ে ভালো হয় সেই ভুলগুলোকে দ্রুত স্বীকার করে নেয়া। সেই সঙ্গে অন্য উদ্ভাবনগুলো আরো উন্নত করার কাজে লেগে যান।
আরও পড়ুন – ১৫ বছরের এই কিশোর ইউক্রেন যুদ্ধের ‘নায়ক’