বাংলার খবর
মেয়ের বিয়ের জন্য তৈরি গয়না নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পলাতক মা!
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মেয়ের বিয়ের জন্য গয়না তৈরি করে রেখেছিলেন বাবা। আর সেই গয়না নিয়েই প্রেমিকের সঙ্গে বেপাত্তা মা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের সাউতানচকে। জানা গিয়েছে, ওই পলাতক মহিলার দুই সন্তানও রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং অন্যজন সন্তান অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে।
জানা গিয়েছে, তমলুক-শ্রীরামপুর রোডে সাউতানচকে স্বামী-স্ত্রী মিলে হোটেলের ব্যবসা চালাতেন। হোটেল চালানোর পাশাপাশি ওই গৃহবধূর স্বামী কাঠের কাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতেন। স্বামী বাইরে গেলে তখন নিজেই হোটেল সামলাতেন ওই পলাতক গৃহবধূ। তখনই তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে আলাপ হয় ওই গৃহবধূর। ময়না থানার খেজুরতলা এলাকার বাসিন্দা ওই প্রেমিক মাছের গাড়ি নিয়ে প্রতিদিন মেচেদা হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যেতেন। তখন তিনি ওই হোটেলে খাওয়া দাওয়া করতেন। সেই সূত্রেই হোটেল ব্যবসায়ী ওই গৃহবধূর সঙ্গে আলাপ হয় ওই যুবকের। আর সেই সম্পর্কই অল্প কয়েকদিনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়।
পলাতক গৃহবধূর স্বামী অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্ত্রী প্রায় সময়ই ফোনে ব্যস্ত থাকতেন। সেই নিয়ে প্রায়ই পরিবারে অশান্তি হত। মাঝে ফোন খারাপ হয়ে যাওয়ায় দু’জনের মধ্যে সেই ভাবে আর কোনও যোগাযোগ ছিল না। তার তিনদিন পরই ওই প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান গৃহবধূ। জানা গিয়েছে, ওই প্রেমিকও বিবাহিত। তাঁরও দুই সন্তান রয়েছে।
ওই পলাতক গৃহবধূর ভাসুর জানিয়েছেন, এর আগেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। আগামী বছর ওই গৃহবধূর ছেলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। এবং ১৪ বছরের মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। তার বিয়ের জন্যই গয়না গড়িয়ে রেখেছিলেন ওই গৃহবধূর স্বামী।
জানা গিয়েছে, সেই গয়না নিয়েই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন ওই গৃহবধূ। তারপরই ওই গৃহবধূর স্বামী তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত দু’জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই গৃহবধূর পরিবার এবং যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় তাঁর সন্তানরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পলাতক গৃহবধুর স্বামী।