স্মার্টফোন রক্ষাকবচ! রুশ হামলা থেকে প্রাণে বাঁচলেন ইউক্রেনীয় সেনা
Connect with us

আন্তর্জাতিক

স্মার্টফোন রক্ষাকবচ! রুশ হামলা থেকে প্রাণে বাঁচলেন ইউক্রেনীয় সেনা

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: যুদ্ধের দুই মাস অতিক্রান্ত। তবুও থামছে না গোলাগুলির শব্দ। একের পর এক রাশিয়ান মিসাইল হামলায় বিপর্যস্ত ইউক্রেনের শহর-গ্রাম। আক্রমণের তীব্রতা এতটাই বেশি যে রুশ হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশ ছেঁড়ে শরণার্থীদের মতোন প্রতিবেশী দেশ হাঙ্গেরী, পোল্যান্ড, রোমানিয়ার সীমান্তে বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বহু ইউক্রেনীয় নাগরিক।

ক্রমাগত রুশ হামলার মধ্যেই সম্প্রতি একটি খবর ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই ভাইরাল খবরটি হল আমাদের প্রতিদিনের জীবনে এখন অপরিহার্য অঙ্গ যাকে ঘিরে সেই বস্তুটিকে নিয়ে। ‘স্মার্টফোন’। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ঘরে-বাইরে এই প্রযুক্তির জুড়ি মেলা ভার। ফোনকল থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া সার্ফিং, ভিডিয়ো কলিং কোন কাজে যে স্মার্টফোন এখন লাগে না তা বলে শেষ করা যাবে না।

তবে স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে যেমন কুপ্রভাব রয়েছে তেমনই এই ফোনই বাঁচিয়ে দিলো এক ইউক্রেনীয় সেনার প্রাণ। কী ভাবে?
ইউক্রেনের (Ukraine) এক সেনা শত্রুপক্ষের হামলার পরেও অক্ষত থাকলেন, কারণ রুশ সেনার ছোঁড়া বুলেট আটকে গেল তাঁর শক্তপোক্ত মোবাইল ফোনে। এমন আশ্চর্য ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। যা দেখে চমকে গেছেন নেটাগরিকরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বড় ঘোষণা সরকারের, এই দেশের ডিগ্রি থাকলে মিলবে না চাকরি

ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ইউক্রেনীয় সেনার মোবাইল ফোনে আটকে রয়েছে রাশিয়ান সেনার ছোঁড়া ৭.৬২এমএম বুলেটটি। ফোনের পিছন দিকে সেটিকে গেঁথে থাকতে দেখা যায়। যে সময় এই ঘটনা ঘটে, তখন ওই তরুণ সেনাকর্মী যুদ্ধক্ষেত্রের ট্রেঞ্চে ছিলেন, চারদিকে তখন চলছে গোলাবর্ষণ। আর ফোন ছিল পকেটে। আচমকা শত্রুপক্ষের একটি গুলি এসে গেঁথে যায় ফোনের পিছনে। ভিডিও ক্যামেরার সামনে সেটিকে তুলে ধরে সেটিকে দেখান সেনাকর্মী। তবে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো ওই ফোনটি কোন কোম্পানির তা জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন ঘটছে জলবায়ুর, মানুষকে সতর্ক করতে বড় সিদ্ধান্ত Twitter-এর

Advertisement

শুরুতে মোবাইল ফোনের ভাল দিকের কথা বলা হয়েছে বটে, তবে স্মার্টফোনের খারাপ দিক নিয়েও তো কম হয় না। বিশেষত ছোটদের অত্যাধিক ফোনে আসক্তি নিয়ে গোটা বিশ্বের অভিভাবকরা চিন্তিত। সেই জিনিসটাই একজন মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে দেওয়ার পর হইচই পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। সকলেই বলছেন, স্মার্টফোন তাহলে কেবল অপকারই করে না। তার এত বড় উপকারের দিকও আছে! তবে এমন ঘটনা কিন্তু এই প্রথমবার ঘটল না।