বাংলার খবর
মাধ্যমিকে পঞ্চম হওয়া অনিন্দ্যকে শুভেচ্ছা জানালেন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: জেলার কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদের সমস্ত সমস্যায় সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। এবার মাধ্যমিকে পঞ্চম স্থান অধিকার করা রায়গঞ্জের অনিন্দ্য সাহাকে সংবর্ধিত করলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। সোমবার অনিন্দ্যর বাড়িতে গিয়ে তাকে সংবর্ধিত করার পাশাপাশি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছাও জানিয়ে এলেন কৃষ্ণ কল্যাণী।
অনিন্দ্যর বাবা অসীম সাহা রায়গঞ্জ শহরের এক সামান্য ইলেক্ট্রিক সামগ্রীর ব্যবসায়ী। অনিন্দ্য এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় পঞ্চমস্থান পাওয়ায় তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খুশি এবং গর্বিত রায়গঞ্জবাসী। করোনায় লকডাউনের জন্য গত দুই বছর ধরে অসীম বাবুর ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তার মধ্যেও অনেক কষ্ট করে ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। স্কুল বন্ধ থাকায় অনিন্দ্যর একমাত্র ভরসা ছিল অনলাইন ক্লাস। হাজারও প্রতিবন্ধকতার মধ্যেই শুধুমাত্র অধ্যাবসায় ও একাগ্রতার জেরেই মাধ্যমিকে ভালো ফল করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল রায়গঞ্জ সুদর্শনপুরের সারদা বিদ্যামন্দির স্কুলের ছাত্র অনিন্দ্য। ৬৮০-৬৮২ নম্বর পাবে বলেই প্রত্যাশা করেছিল অনিন্দ্য। তাই, প্রত্যাশার থেকেও বেশি ৬৮৯ নম্বর পেয়ে রাজ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করে খুশি সেও।
সোমবার, দুপুরে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী অনিন্দ্যর বাড়িতে গিয়ে তাকে সংবর্ধিত করেন। অনিন্দ্যর হাতে ফুল, মিষ্টি ও উপহার তুলে দেন তিনি। এমনকি নিজের হাতে অনিন্দ্যকে মিষ্টিমুখ করান। আগামীদিনে অনিন্দ্যের সাফল্য কামনা করার পাশাপাশি তাকে শুভেচ্ছাও জানান রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি বলেছেন, ‘মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করে অনিন্দ্য সাহা রায়গঞ্জের মুখ উজ্জ্বল করেছে, রায়গঞ্জবাসীকে গর্বিত করেছে। সেই কারণেই আমি ওকে আজ শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলাম। আগামী দিনে ও আরও ভালো রেজাল্ট করুক, সেই কামনাই করছি। ওকে অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছি। আশা করি আগামী দিনে ও আরও সাফল্য পাবে। ওর ওপর আমাদের প্রত্যাশা আরও বেড়ে গেল।’