এক বছরের কাজের খতিয়ান নিয়ে রায়গঞ্জবাসীর দুয়ারে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী
Connect with us

বাংলার খবর

এক বছরের কাজের খতিয়ান নিয়ে রায়গঞ্জবাসীর দুয়ারে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন প্রতিবছর বিধায়কদের কাজের খতিয়ান জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। সেই কথা মতোই এবার ‘দুয়ারে বিধায়ক’ কর্মসূচিতে নামলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। বিধায়ক হলেও তাঁর আরও একটা পরিচয় হল, তিনি উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট শিল্পপতি। পিতা দীনদয়াল কল্যাণী ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।

জেলার রাজনীতিবিদদের মধ্যে অন্যতম তরুণ মুখ কৃষ্ণ কল্যাণী। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপক্ষের পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদদের হারিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন বিধানসভায়। তাঁর এই উত্থানে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। তবে কৃষ্ণ কল্যাণী প্রচুর হোমওয়ার্ক করেই রাজনীতিতে পা দিয়েছেন তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে প্রতিমুহূর্তে। মঙ্গলবার বিধায়ক হওয়ার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে শুরু করলেন দুয়ারে বিধায়ক কর্মসূচি। রায়গঞ্জের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুয়ারে বিধায়ক কর্মসূচি করলেন “রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী”। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি সঞ্জয় মিত্র সহ অন্যান্যরা। গত এক বছরে তিনি তাঁর বিধানসভা এলাকায় কী কী উন্নয়ন করেছেন, কোন কোন সরকারি পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন, তার খতিয়ান লিফলেট আকারে ছাপিয়ে এলাকার ঘরে ঘরে পৌঁছে যান কৃষ্ণ কল্যাণী। এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রায়গঞ্জের বিধায়ক বলেছেন, ‘গত এক বছরে আমি কী কী কাজ করেছি, তার খতিয়ান এলাকাবাসীর হাতে তুলে দিয়েছি। মানুষের কী কী সমস্যা রয়েছে তাও শুনেছি। যে সমস্যাগুলো এক্ষুনি সমাধান করা সম্ভব ছিল সেগুলো করে দিয়েছি।

আরও পড়ুন – কলকাতায় এলেন অনুব্রত মণ্ডল, বুধবারই কি সিবিআই-এ হাজিরা !

Advertisement

আরও পড়ুন – ‘আমাদের রাজ্য দিয়ে কয়লা-গরু নিয়ে যেতে দেব না’, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

এ ছাড়া অন্যান্য যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো আমি লিখে নিয়েছি। সেগুলোর যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়, তার চেষ্টা করব। আগামী দু-মাস ধরে গোটা রায়গঞ্জে আমার এই দুয়ারে বিধায়ক কর্মসূচি চলবে। আমি রায়গঞ্জের প্রত্যেক ঘরের দরজায় আমার গত এক বছরের কাজের হিসেব নিয়ে পৌঁছে যাব।’ তবে বিধায়ক হওয়ার বা রাজনীতিতে আসার অনেক আগে থেকেই সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন রায়গঞ্জের বিশিষ্ট শিল্পপতি। মানুষের বিপদে-আপদে সবসময়ই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। করোনা অতিমারির সময় দুঃস্থ মানুষদের মুখে খাবার তুলে দিতে শুরু করেছেন অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার। এছাড়াও যখনই কারও বিপদ বা সমস্যার কথা শুনেছেন, সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে তার সমাধান করা এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। বিধায়ক হওয়ার পর বোগ্রামে একটি সহায়তা কেন্দ্র খুলেছেন। সেখান থেকে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা প্রদানের কাজও শুরু করেন তিনি।

পাশাপাশি, ব্যক্তিগত উদ্যোগে বহু সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তাই রায়গঞ্জবাসীর ভরসা এবং বিশ্বাসের একমাত্র মুখ হয়ে উঠেছেন বিধায়ক। কৃষ্ণ কল্যাণীর কাজে এবং তাঁর এই দুয়ারে বিধায়ক প্রকল্পে স্বভাবতই খুশি রায়গঞ্জবাসী। বিধায়কের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, ‘দুয়ারে এমএলএ প্রকল্প নিয়ে কৃষ্ণ কল্যাণী আমাদের কাছে এসেছেন। উনি আমাদের সমস্ত চাহিদা এবং সমস্যার কথা শুনেছেন। রাজ্য সরকার যে সমস্ত প্রকল্প চালু করেছে, সেগুলোর সুবিধা আমরা ঠিকমতো পাচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছেন তিনি। আমাদের এখানে এখনও কিছু কিছু ছোট ছোট সমস্যা রয়েছে। সেগুলো আমরা বিধায়ককে জানিয়েছি। উনি আশ্বাস দিয়েছেন সেগুলোর দ্রুত সমাধান করে দেবেন। উনি রায়গঞ্জবাসীর সঙ্গে প্রতিনিয়ত যেভাবে সম্পর্ক রেখে চলেছেন, তা এককথায় অভূতপূর্ব। আমরা যে কোনও সমস্যায় বা অনুষ্ঠানে ডাকলেই বিধায়ককে পাই। সামাজিক, সাংস্কৃতিক সমস্ত বিষয় ওঁনাকে আমরা কাছে পাই। আর ওঁনার দুয়ারে বিধায়ক প্রকল্প দারুন পদক্ষেপ। আগে কখনও কোনও বিধায়ক এইভাবে আমাদের কাছে পৌঁছে খোঁজখবর নিতে দেখিনি।’

Advertisement

আরও পড়ুন – কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, বগটুই হত্যাকাণ্ডে নিহত পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হল নিয়োগপত্র

আরও পড়ুন –  বোমার সেল থেকে তামার তার বের করতে গিয়ে বিপত্তি, মৃত ১ জখম ৪

Advertisement