আচমকাই বন্ধ মিশনারিজ অব চ্যারিটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট! কেন্দ্র কোনও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি বলে দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের
Connect with us

বাংলার খবর

আচমকাই বন্ধ মিশনারিজ অব চ্যারিটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট! কেন্দ্র কোনও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি বলে দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সোমবার দুপুরে আচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হল মাদার টেরিজার মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এর ফলে মিশনারিজের সমস্ত আর্থিক লেনদেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর এই ঘটনায় টুইট করে উষ্মা প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিএমের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

গোটা ঘটনার জন্য দু’জনেই কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষারোপ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লেখেন, ‘বড়দিনের উৎসবের মধ্যে মাদার টেরিজার মিশনারিজ অব চ্যারিটির সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে শুনে আমি বিস্মিত। আইন সবার উপরে হলেও মানবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠিক নয়।’ সূর্যকান্ত মিশ্র লিখেছে, ‘কেন্দ্র ২৫ ডিসেম্বরে মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে সংস্থার কর্মীরা সমস্যায় রয়েছেন। সংস্থার পরিষেবার আওতায় থাকা হাজার হাজার রোগীরা খাবার এবং ওষুধ পাচ্ছেন না।’ এই ঘটনা সামনে আসতেই সর্বত্র বিতর্কের ঝড় উঠে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মিশনারিজ অব চ্যারিটির কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ করা হয়নি। বরং, মিশনারিজ অব চ্যারিটি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার কাছে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছিল।

বে কিছু শর্ত পূরণ না হওয়ার জন্য সাহায্য হিসেবে বিদেশি মুদ্রা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কেন্দ্রীয় অনুমোদন মিশনারিজ অব চ্যারিটিকে দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিদেশি মূদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত যে কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র মিশনারিজের প্রয়োজন তা না থাকাতেই ২৫ ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্র সেই ছাড়পত্রের পুনর্নবিকরণ স্থগিত রেখেছে। তবে এই নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য্য, শশী থারুর কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিবৃতির পর, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী অযথা কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এই ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয় যে তৃণমূল রাজ্যে ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি করছে। যদিও এই গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি হয়নি মাদার টেরিজার সংস্থা।

Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.