বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ
Connect with us

বাংলার খবর

বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ:  ফের নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজামুদ্দিন পাড়ায়। নির্যাতিতা ওই নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে থানায় তাঁদের মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে।

এদিকে প্রাথমিক তদন্তে ও মেডিকেল রিপোর্টের সূত্র অনুযায়ী কোনও রকম গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন পুলিশ। অভিযোগ প্রেমের সম্পর্ক থেকে  প্রেমিক ওই নাবালিকা প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে থাকতে পারে। যদিও এই ঘটনায় নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে চার অভিযুক্ত আলমগীর শেখ , তোতা শেখ, সেলিম সেখ এবং সুজন রবিদাসের বিরুদ্ধে বৈষ্ণবনগর থানার কুম্ভিরা পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সুজন রবিদাস এবং সেলিম শেখকে গ্রেফতার করেছে। বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে কুম্ভিরা পুলিশ ফাঁড়ির তদন্তকারী এক কর্তা বলেন, ”গণধর্ষণের অভিযোগ সঠিক নয়। কারণ, যদি ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হতো, তাহলে তার শারীরিক পরিস্থিতির সঙ্কটজনক থাকতো। এই অবস্থায় নাবালিকা মেডিকেল কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছে। সেখানে গণধর্ষণের কোনও নমুনা পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে। আপাতত ওই নাবালিকাকে মালদার সরকারি মহিলা হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” 

Advertisement

আরও পড়ুন: BGBS 2022: বঙ্গ বাণিজ্যে বিনিয়োগ নিয়ে একগুচ্ছ ঘোষণা, জেনে নিন কোন খাতে কত হল বিনিয়োগ

এদিকে নির্যাতিতার ওই নাবালিকার মা পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন , তার মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরতা। গত মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সেই সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। রোজার জন্য বাজার করতে গিয়েছিলেন । বাইরে থেকে দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি । বাড়িতে তার বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ে ছিল। এরপরই ওই অভিযুক্ত চারজন বাড়িতে ঢুকে ছোট মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। এবং পাশের একটি খেতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে কর্মসংস্থান নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Advertisement

এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে নিজামুদ্দিন পাড়া এলাকায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। যদিও পুলিশ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে।