বাংলার খবর
মায়ের সঙ্গে হাটে এসে ফেরা হল না বাড়ি, মর্মান্তিক মৃত্যু নাবালকের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মায়ের সঙ্গে হাটে এসে আচমকা গাছের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারাল এক নাবালক। মৃত ওই নাবালকের নাম আরস সাহা (১২)। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি থানার অদূরে বৌলবারি গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বৌলবারি গ্ৰামের বছর ১২-এর আরস সাহার উপর আচমকা একটি বড় গাছ ভেঙ্গে পড়ে । গাছের নিচে চাপা পড়ে যাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। দমকলের কর্মীরা এসে উদ্ধার করে বাচ্চাটিকে এবং তাকে সঙ্গে সঙ্গে পাঠানো হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বাচ্চাটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।
অন্যদিকে, রেললাইন পার হতে গিয়ে মাল গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা শহরের মালঞ্চপল্লী রেল গেটের কাছে। এই ঘটনার পর রেল পুলিশের কর্মীরা এসে ওই ব্যক্তির মৃতদেহটি উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম বিনয় সাহা (৫০)। তার বাড়ি মালঞ্চ পল্লী এলাকায়। রেললাইন ধরেই বাজার করতে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু সেই সময় পিছন থেকে একটি মালগাড়ি ধাক্কা মারে তাকে। আর তাতেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। তবে এটি নিছক দুর্ঘটনা না আত্মহত্যা সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বানচাল নাশকতার ছক, পুলিশি অভিযানে উদ্ধার ১৭টি তাজা বোমা
প্রসঙ্গত, রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা মারলো এক অল্টো গাড়ি। যার জেরে মৃত্যু হল ২ জনের, আহত ৩। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ব্লকের সিঙ্গিমারী মোড় সংলগ্ন এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম সৈকত মন্ডল (২২)। অপর মৃত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ির সুভাষ নগর এলাকার চার যুবক প্রাইভেট গাড়ি করে লাটাগুড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে ৩১ নং জাতীয় সড়কের সিঙ্গিমারী মোড় এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে গাড়িটি ধাক্কা মারে। যার জেরে সেখানেই মৃত্যু হয় সৈকত মন্ডল নামের যুবকের।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার রুখতে অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি মমতার
এছাড়াও গাড়িতে থাকা বিশাল মিত্র, দীপঙ্কর দে এবং সিদ্ধার্থ ধর গুরুতর আহত হন। জানা গিয়েছে, আহতদের বাড়িও একই এলাকায়। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় আহতদের। বাকি তিনজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।