লাইফ স্টাইল
‘মাইগ্রেন’ আপনারও কি আছে এই সমস্যা?

বেঙ্গল এক্সপ্রেসঃ বর্তমান সময়ে সবার জন্যেই একটা আতঙ্কের নাম হচ্ছে ‘মাইগ্রেন’ । মাইগ্রেনের ব্যথায় ভোগেন না এমন মানুষ পাওয়াটাও অনেক কঠিন। কিন্তু এই মাইগ্রেন হয় কেন?
মাইগ্রেন কেন হয় এটা নিয়ে অনেক থিওরি আছে। তবে হয় জেনেটিক এবং কিছু পারিপার্শ্বিক কারণ অনেকটাই দায়ী এই মাইগ্রেন হওয়ার পেছনে।
মাইগ্রেন বাড়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। যেমন :
১. অতিরিক্ত গরমে থাকলে বা রোদ্রে হাটলে যেমন মাইগ্রেন হতে পারে, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণেও মাইগ্রেন হতে পারে।
২. অত্যাধিক রেগে যাওয়া, অতিরিক্ত কান্নাকাটি করা, অট্টহাসি বা জোরে জোরে হাসার অভ্যাস থাকলে।
৩. অতিরিক্ত পরিশ্রম বা রেস্ট না নেওয়া। ক্ষেত্রবিশেষে অত্যাধিক যৌনমিলনের কারণেও হতে পারে।
৪. সারাদিন বাসায় থাকা বা অতিরিক্ত ঘুম বা এক্সারসাইজের অভাব এবং অলসতা থেকেও মাইগ্রেন হতে পারে।
৫. রাত জেগে থাকা তো মাইগ্রেনের অন্যতম কারণ এবং এই রাত জেগে থাকার ফলে মাইগ্রেন দিনদিন বাড়তে পারে।
৬. অধিক পড়াশুনা বা ব্রেনকে রেস্ট না দিলে মাইগ্রেন হতে পারে।
৭. মাসিকের সময় মেয়েদের একটা মাইগ্রেন হয় এটাকে Menstrual Migraine বলে এবং Menopause এর পরে মাইগ্রেনের এ্যাটাক অনবরত হয়।
৮. জন্মনিরোধীকরণ পিল বা হরমোন থেরাপি নিলেও মাইগ্রেন বাড়তে পারে।
৯. খাদ্যবিশেষ যেমন চকলেট, পিনা, মিস্টি অতিরিক্ত স্পাইসি বা লবণজাতীয় খাবার, দুধজাতীয় কিছু খাবার ইত্যাদি মাইগ্রেন বাড়াতে পারে।
এমনকি সময়মতো না খাওয়া বা না খেয়ে থাকলে মাইগ্রেন মারাত্মক আকারে বেড়ে যায়।
১০. উচ্চ আলো এবং উচ্চ শব্দ মাইগ্রেন রোগীদের জন্য অসহনশীল।
১১. চা কফি সাধারন মাইগ্রেন কমালেও অতিরিক্ত চা এবং কফি মাইগ্রেনের কারণ।
মাইগ্রেনের ব্যথা হলে করণীয়ঃ
১. নিরিবিলি পরিবেশে থাকতে হবে যেখানে উচ্চ শব্দ বা আলো থাকবে না।
২. ব্যেথার জায়গা টিপে দিলে বা ম্যাসাজ করলে আরাম পাওয়া যায়।
৩. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে।