বাংলার খবর
পাহাড়ে রাজ্যপালের সঙ্গে ‘সৌজন্য’ সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রীর, ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বৃহস্পতিবার জিটিএর চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেবেন অনিত থাপা। তার আগেই দার্জিলিং রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অতীতে জিটিএ নির্বাচন ও অডিট নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাই বৃহস্পতিবার এই বৈঠকে জিটিএ-এর ভবিষৎ পরিকল্পনা নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বুধবারই দার্জিলিঙে পৌঁছেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বৃহস্পতিবার জিটিএ-এর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অনিক থাপাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন তিনি। তার আগেই বুধবার বিকেলে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল। রাজ্যপালের আমন্ত্রণে সারা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যান রাজভবনে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক হয় তাঁদের মধ্যে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মাও। অসমের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে কেন দার্জিলিঙে এসেছেন তা নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। তার মধ্যেই রাজ্যপালের ডাকে মুখ্যমন্ত্রীর রাজভবনে চা খেতে যাওয়া নিয়ে চর্চা আরও বেড়ে গিয়েছে।
যদিও সাক্ষাতের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এটা একটা নেহাতই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ ছিল। আমাদের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। চা খেয়েছি গল্প করেছি।’ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে জিজ্ঞাসা করা হলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘উনার সঙ্গেও আমার দেখা হয়েছে। অনেক কথা হয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য অসম। সেই কারণে সব সময় দুই রাজ্যের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক থাকা উচিত। আমাদের রাজ্যের অনেকেই অসমে থাকেন। আমাদের রাজ্যের আলিপুরদুয়ারে অসমের বর্ডার রয়েছে। তাই দুই রাজ্যের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকাটা খুবই দরকার। আমাদেরও অনেক প্রয়োজন হয়। ওদেরও অনেক প্রয়োজন হয়।’ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে হেমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে কোনও কথা হয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এই নিয়ে কী করে কথা হবে? উনার পার্টি তো অন্য।’ নবনির্মিত অশোকস্তম্ভ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আগে বিষয়টা আমি ভালো করে জানবো। তারপরে এই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’ তবে বৃহস্পতিবার জিটিএ চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যাবে কিনা, সেই কিছু বলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।