খেলা-ধূলা
মন্ত্রীমশাইয়ের সেঞ্চুরি, রঞ্জি সেমিফাইনালে বাংলা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দুই ময়দানেই দাপট অব্যাহত মনোজ তিওয়ারির। বেঙ্গালুরুতে রঞ্জি ট্রফির নকআউট পর্বের ম্যাচে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছিল সেঞ্চুরি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে আর সেই ভুল করেননি। দাপটের সঙ্গেই শতরান করলেন বাংলার মন্ত্রীমশাই। প্রথম ইনিংসে তাঁর মন্থর ব্যাটিং নিয়েও হয়েছিল সমালোচনা। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই সমালোচনাকেও মাঠের বাইরে পাঠালেন মনোজ।
শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৮৫ বলে ১৩৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন মনোজ। তার এই ইনিংসটি ১৯ বাউন্ডারি ও জোড়া ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ছিল। শেষে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
এবারে টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে একটি মাত্র অর্ধশতরান পেয়েছিলেন মনোজ। হাঁটুর চোট সারিয়ে দলে ফিরে গ্রুপ পর্বে সেই ভাবে সাফল্য আসছিল না। কিন্তু নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচেই চেনা ছন্দে ধরা দিলেন মনোজ। প্রথম ইনিংসে ১৭৩ বলে ৫ বাউন্ডারি ও জোড়া ছক্কার সাহায্যে করেন ৭৩ রান। এবার সেই অর্ধশতরানকেই পরিণত করলেন শতরানে। প্রথম শ্রেণির কেরিয়ারে করে ফেললেন নিজের ২৮তম শতরান।
মাত্র ৩৬ বছর বয়সে রাজনীতির ময়দানে নেমে মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন মনোজ। বর্তমানে তিনি রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের প্রতিমন্ত্রী। তবে তাঁর ব্যাটিঙে যে এখনও মরচে পড়েনি, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক। এখন তাঁর একমাত্র স্বপ্ন হল বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফির খেতাব জেতা। ম্যাচ ড্র হলেও ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে সেমিফাইনালে উঠল বাংলা। শেষ চারে বাংলার প্রতিপক্ষ মধ্যপ্রদেশ।
ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে বিশ্বরেকর্ড গড়ে রানের এভারেস্ট ছুঁয়েছিল বাংলা। দলের ৯ ব্যাটসম্যানই করেছিলেন অর্ধশতরান। তারমধ্যে সুদীপ ঘরামি ও অনুষ্টুপ মজুমদার করেন শতরান। তার দৌলতে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৭৭৩ রান করে ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে বাংলা। জবাবে ঝাড়খণ্ডকে ২৯৮ রানেই আটকে দেয় বাংলার বোলাররা। শাহবাজ আহমেদ এবং সায়ন শেখর মন্ডল ৪টি করে উইকেট নেন। বিপক্ষকে ফলোয়ান না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ৩১৮ রানে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে অরুণ লালের দল। মনোজের সেঞ্চুরি ছাড়াও রান পেয়েছেন অভিষেক পোড়েল (৩৪), অনুষ্টুপ মজুমদার (৩৮) এবং শাহবাজ আহমেদ (৪৬)। প্রথম ইনিংসে ১৮৬ রান করার দৌলতে ম্যাচের সেরা হয়েছেন সুদীপ ঘরামি।