বাংলার খবর
বাম-রামেরা বাংলাকে অশান্ত করার চক্রান্ত করেছে, অভিযোগ মানসের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আগামী ১৭ থেকে ১৮ মে জেলা সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই তিনদিন ঝাড়গ্রাম জেলায় কর্মীসভা করবেন তিনি। সেই সঙ্গে জনসভাও করার কথাও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কেশিয়াপাতা হাইস্কুলের মাঠে এক প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের জলসম্পদ ও ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী তথা ডঃ মানস রঞ্জন ভুঁইয়া।
তিনি বলেন, ”আগামী ১৯ মে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামকে মমতাময় করে তুলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাঁকরাইলে উন্নয়নের অনেক কাজ করেছেন। তাই গোপীবল্লভপুর ও সাঁকরাইলের শান্তি ও উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকতে হবে আমাদের।”
একই সঙ্গে তিনি তীব্র ভাষায় সিপিএমকে আক্রমণ করেন। তিনি তার ভাষণে বলেন, ”সব সিপিএমের কমরেড ও হার্মাদরা এখন বিজেপির পতাকা হাতে তুলে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চক্রান্ত শুরু করেছে। রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের আমলে কত মানুষকে খুন করেছে, হাত কেটেছে, চোখ তুলে নিয়েছে, রক্তের হোলিখেলা চলেছিল।এখন তারা হয়েছে বিজেপির নেতা।”
এদিনের এই প্রস্তুতি সভায় রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি তথা বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা, প্রাক্তন সাংসদ তথা ঝাড়গ্রামের মুখপাত্র ডাঃ উমা সরেন, বিধায়ক ডাঃ খগেন্দ্র নাথ মাহাত, নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু, সাঁকরাইল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কমল কান্ত রাউৎ সহ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্বরা।
তিনি দলীয় কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। জেলা নেতৃত্ব থেকে ব্লক নেতৃত্বদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার এবং তা সমাধান করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়, রাস্তায় নেমে আন্দোলনের বার্তা অভিষেকের
এছাড়াও দলের নেতৃত্বদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ”যদি কোনও দলীয় নেতা মানুষের জন্য কাজ না করেন তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। দলে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। দলের সবাই এক হয়ে কাজ করছে।”
তিনি বলেন, ”রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৬৭ টি প্রকল্পের পরিষেবা দিচ্ছেন বাংলার মানুষকে। এখনও কোনও রাজ্য দিতে পারেনি। রাজ্যের প্রতিটা মানুষ এখন বিনা পয়সায় রেশন পাচ্ছেন।”
আরও পড়ুন: মুকুল মামলার শুনানি শেষ, দু-একদিনের মধ্যেই রায় ঘোষণা
এদিন তিনি দলীয় কর্মীদের বলেন, ”কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না।মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় সকলকে নিয়ে সামিল হবেন।”