ভাইরাল খবর
মাছের প্রতি অদ্ভুত প্রেমের টান, তারপর যা করলেন যুবক

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মানুষের অনেক কিছুর প্রতিই প্রেম ভালোবাসা শোনা যায়। তবে মাছ পোষার কথা খুব কমই শোনা যায়। এক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু আলাদা। জ্যাক হিথকোট (Jack heathcote) এমন একজন ব্যক্তি যিনি তার বাড়ির ড্রয়িং রুমে মোট নয়টি দৈত্যাকৃতির অ্যাকরিয়াম বানিয়ে ফেলেছেন। যা সহজেই পর্যটকদের(Tourist) আকর্ষণকে দ্বিগুণ করতে পারে।
৪৭বছর বয়সী এই ব্যক্তি তার বাড়ির ড্রয়িং রুমটিকে একটি বিশাল অ্যাকোরিয়ামে(Aquariums) রূপান্তরিত করেছে, যেখানে রয়েছে নয়টি সুপার-সাইজের ট্যাঙ্ক রয়েছে, যার একএকটির গভীরতা প্রায় ৭ ফুট। জ্যাক বলেন যে, তিনি এই মাছ পোষার ব্যাপারে কখনওই বিরক্ত বোধ করেন না। এছাড়াও তিনি টিভি দেখতে অতটা স্বাছন্দ বোধ করেন না। তিনি তার অ্যাকোরিয়ামের মাছদের সাঁতার কাটা দেখতে খুব পছন্দ করেন।
৪৭ বছর বয়সী এই ব্যক্তির বয়স যখন ১০ বছর তখন থেকেই তার মাছের প্রতি আকর্ষণ। তিনি প্রথম ব্ল্যাকপুলের একটি অ্যাকরিয়ামে ঘুরতে যান এবং সেখান থেকে একটি সোনালি রংয়ের মাছ সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছিলেন। বলা যায় সেখান থেকেই তার মাছের প্রতি এই বিশেষ আকর্ষণ।
আরও পড়ুন: সেভিং করে আসা যাবে না অফিসে, তালিবানের নয়া ফরমানে নাজেহাল অবস্থা
এখন, তিনি নটিংহামের বাড়িতে ২০ লাখ টাকা ব্যয় করে এই অ্যাকোরিয়ামটি বানিয়েছেন। যেটি পর্যটকদের প্রবল ভাবে আকর্ষিত করবে।
তার সবচেয়ে বড় ট্যাঙ্কটি, যা তিনি তার ভাঁড়ের তিনটি দেয়াল থেকে তৈরি করেছিলেন, এটি ৫০ টি পার্চ, চারটি বিশাল আয়না কার্প এবং কিছুটা রাড এবং টেক রয়েছে।
গভীর ট্যাঙ্কের পাশাপাশি তার সংগ্রহের তালিকায় রয়েছে আরও দুটি ট্যাঙ্ক যে দুটি তার বসার ঘর এবং শোয়ার ঘরে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আমার বন্ধুরা প্রায়ইআসে এগুলি দেখতে। তারা প্রায়শই আমার সাথে সোফায় বসে এগুলি দেখে, ঠিক যেমন অন্য লোকেরা সোফায় বসে টিভি দেখে।”
আরও পড়ুন: শোভন-বৈশাখীর ‘কাশ্মীর ফাইলস’ রীতিমতো উষ্ণতা ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়
জায়ান্ট অ্যাকোয়ারিয়ামের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, জাপানে একটি ক্যাফে রয়েছে যেটি কিনা সবচেয়ে উদ্ভট শৌচাগারগুলির জন্য বিখ্যাত। জাপানের আকাশীর হিপোপো পাপা ক্যাফে যেখানে গ্রাহকদের ওয়াশরুমটি ব্যবহার করার সময় বিদেশি মাছ এবং একটি কচ্ছপের দৃশ্য দেখানো হয়। ক্যাফের মালিক বিচিত্র টয়লেট স্থাপনের জন্য ২০০,০০০ ডলার (আনুমানিক ১.৮ কোটি টাকা) ব্যয় করেছিলেন, এটির তিনপাশ অ্যাকোরিয়াম দ্বারা বেষ্টিত।