কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড উত্তর দিনাজপুর, অথৈ জলে চাষিরা
Connect with us

বাংলার খবর

কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড উত্তর দিনাজপুর, অথৈ জলে চাষিরা

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ:  কয়েক ঘণ্টার ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে। বাড়ি ঘর ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি নষ্ট হয়েছে জমির ফসলও। ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যুও হয়েছে এক ব্যক্তির।

 সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। আচমকা শিলাবৃষ্টিতে তাঁদের বই খাতা সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া দশ হাজার টাকার মোবাইল ফোনও। এখন কিভাবে আগামী ১৬ তারিখে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন সেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ওই পরীক্ষার্থীরা। ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ত্রানের ব্যাবস্থা করা শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

রবিবার দুপুরের পর আচমকাই ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের পন্ডিতপোঁতা ২, গাইসাল ২ গ্রামপঞ্চায়েতের কালনাগীন, সুভাষপল্লী, দাড়িভিট সহ একাধিক গ্রাম। ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে বহু কাঁচা ঘর ভেঙে যায়, নষ্ট হয়ে যায় ভুট্টা, ধান, শাক সবজি সহ বহু জমির ফসল। ঘর ভেঙে এলাকার ছাত্রছাত্রীদের পঠন পাঠনের সমস্ত বইপত্র নষ্ট হয়ে যায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: VisvaBharati University: ছাত্রের ‘জাত’ তুলে অপমান, জেল হেপাজত অধ্যাপকে

এরফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দুর্গত এলাকার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা৷ ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে তাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ার পাশা পড়াশুনার সমস্ত বইপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৬ এপ্রিল তাঁদের উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা আছে, কিভাবে এখন সেই পরীক্ষা দেবেন সেই দুশ্চিন্তাই গ্রাস করে খাচ্ছে তাদের। অপরদিকে গতকালের পর থেকে দুর্গত বাসিন্দারা সবকিছু হারিয়ে কেউ খোলা আকাশে নীচে কেউ বা আবার সংশ্লিষ্ট স্কুল বিল্ডিংয়ে পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখায় ব্যাহত ট্রেন পরিষেবা, দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা

Advertisement

অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও ত্রান-সাহায্য মেলেনি। পন্ডিতপোঁতা ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধানের প্রতিনিধি ক্ষিতিশ চন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর ব্লক প্রশাসন থেকে দুএকটি জায়গায় পরিদর্শন করে গিয়েছে। আমরা আবেদন করেছি মাথা গোঁজার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে পলিথিন ও ত্রান-সাহায্য দেওয়ার জন্য।