বাংলার খবর
মানসিক অবসাদে মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে আত্মঘাতী প্রৌঢ়, চাঞ্চল্য এলাকায়

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ:নিজের মাথায় গুলি করে এক ব্যাক্তির আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল তারকেশ্বরের মোজপুর গ্রামে।
মৃত যুবকের নাম শান্তনু ঘোষ (৪৩ )। পরিবারে স্ত্রী ও তিন বছরের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে তাঁর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার প্রাতঃভ্রমণ সেরে বাড়ি ফেরার পর নিজের দোনলা বন্দুক দিয়ে মাথায় গুলি করেন শান্তনু ঘোষ। প্রতিবেশীরা গুলির আওয়াজ শুনে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে শান্তুনুর দেহ। এই বিষয়ে মৃতের জ্যাঠতুতো দাদা সৌমেন ঘোষ বলেন, ”আমি পাশেই থাকি। সকাল সাতটার সময় একটা শব্দ পাই। গুলির আওয়াজ কি না তা বুঝতে পারিনি। শব্দ পেয়ে বেরিয়ে শান্তনুর স্ত্রী অনুশ্রীর কান্নার আওয়াজ পাই। দরজা বন্ধ ছিল। আমি তাঁকে ডেকে দরজা খুলতে বলি। দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে। পায়ের কাছে বন্দুক। এরপর পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। মৃতদেহ ও বন্দুকটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।”
আরও পড়ুন: রামপুরহাট হত্যালীলায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হাইকোর্টে
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এটিএমের ক্যাশ গাড়ির বন্দুকধারী গার্ড হিসাবে কাজ করতেন শান্তনু। যে কারনে লাইসেন্স প্রাপ্ত দোনলা বন্দুক ছিল তাঁর কাছে। করোনা পরিস্থিতিতে কাজ হারান। তারপর থেকে সংসার চালাতে জমি জায়গাও বিক্রি করতে হয়। সম্প্রতি মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই কারনেই এই আত্মহত্যার ঘটনা বলে অনুমান পুলিশের। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্যদিকে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মঙ্গলবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ৫ নম্বর রাজ্য সড়কের উপর ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি থানার আস্তাঝুড়ি সংলগ্ন এলাকায়। মৃত ব্যাক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি। কী গাড়িতে অ্যাকসিডেন্ট করেছে সেটাও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: দাবিমতো পণ দিতে না পারায় গৃহবধূকে জ্যান্ত পুড়িয়ে হত্যা, কাঠগড়ায় শ্বশুরবাড়ি
এদিকে এই ঘটনায় এলাকার কিছু লোকের দাবি, মৃত ব্যক্তি পাগল। তবে মৃতদেহটি রাজ্য সড়ক থেকে স্থানীয় জমিতে বুধবার সকালে পড়ে থাকতে দেখেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা ফোন করে বেলপাহাড়ি থানার পুলিশকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন বেলপাহাড়ি থানার পুলিশ। তাঁরাই এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সেইসঙ্গে মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।