বিএসএফ ইস্যু নিয়ে কথা বলতেই দিল্লি গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Connect with us

বাংলার খবর

বিএসএফ ইস্যু নিয়ে কথা বলতেই দিল্লি গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সোমবারই দিল্লি গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। বিএসএফ এর ক্ষমতা বৃদ্ধির কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত বাতিল করার আবেদন তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে করবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এছারাও রাজ্যের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়েও আলচনা করবেন তিনি। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া ত্রিপুরা ইস্যু নিয়ে নিজের দলের সাংসদদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। তবে দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে সংবাদ মাধ্যমের কাছে ত্রিপুরায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সায়নী ঘোষের গ্রেফতার নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিজেপিশাসিত রাজ্যে গণতন্ত্রের কঙ্কাল বেড়িয়ে পড়েছে। বিজেপি যেখানে ক্ষমতায় থাকে সেখানে ভোট হয় না। মানুষ নিজে ভোট দিতে পারে না।

‘ বিএসএফ-এর ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘বিজেপি নিজের রাজনৈতিক বিস্তারের জন্য বিএসএস কে ব্যবহার করছে। ভারতবর্ষের মতো যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এই নীতি গণতন্ত্রের হত্যার সামিল। আমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার রয়েছে বুধবার। রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আমি কথা বলতে যাচ্ছি। বিশেষ করে বিএসএফের ইস্যুটা নিয়ে আমি কথা বলতে যাচ্ছি। গায়ের জোরে এলাকা দখল করতে দেব না। বিএসএফ তো আর আমার শত্রু নয়। ওরাও বন্ধু আমার। বিজেপি যে ভাবে মনে করছে বিএসএফ মানে বিজেপি সেফ সেটা তো ঠিক নয়। প্রত্যেক সংগঠনের একটা নিজস্বতা আছে। এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের। আবার সিআইএসএফ, বিএসএফ তারাও ক্যাডার। প্রত্যেকের নিজস্ব ক্ষেত্র আছে।

Advertisement

কিন্তু সেটা না করে এরা গায়ের জোরে এজেন্সিগুলিকে নিজের পার্টির কাজে লাগাচ্ছে। বিএসএফটা বড় ইস্যু। এই বিষয়গুলো নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি কথা বলব। তবে অন্যান্য বিষয়ও অবশ্যই উঠবে।’ এদিন ত্রিপুরা নিয়েও বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সবসময় আদালতের নির্দেশকে সম্মান করি। কিন্তু ত্রিপুরায় দেখছি সে নির্দেশও মানা হচ্ছে না। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত তা মানছেন না। আমি সর্বোচ্চ বিচারদাতার কাছে অনুরোধ করব তাঁদের নির্দেশ যখন অমান্য করা হচ্ছে তাঁরাও যেন আইন মেনে ব্যবস্থা নেন।’

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.