সমর্থকদের থেকে মুড়ি চেয়ে GST ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ মমতার
Connect with us

বাংলার খবর

সমর্থকদের থেকে মুড়ি চেয়ে GST ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ মমতার

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: করোনা আবহে টানা দু’বছর ভার্চুয়াল সভা করার পর অবশেষে ২০২২ সালে এসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তৃণমূলের অফলাইন শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান। আজ সব পথ ধর্মতলামুখী। বৃষ্টির মধ্যেও ধর্মতলা চত্বরে জনসমুদ্র। বৃষ্টি ভিজেই এদিন কর্মীদের বার্তা দিতে মঞ্চে উপস্থিত হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিনের সভামঞ্চ থেকে ফের আরও একবার বিজেপিকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ”মুড়িতেও GST। চিঁড়ে, দই, নকুলদানাতেও GST। লোকে কি খাবে? খাব কি? মুড়ি হাতে নিয়ে এদিন বিজেপিকে নিশানা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মঞ্চ থেকেই কর্মীদের কাছ থেকে মুড়ি চেয়ে নেন। তাঁকে মুড়ি দিতে এগিয়ে আসেন এক সমর্থক। মুড়ির থালা হাতে নিয়ে এদিন GST ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেন তিনি। 

আরও পড়ুন: বৃষ্টি যখনই হয়েছে বিরোধিরা ধরাশায়ী হয়ে গিয়েছে: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement

তিনি বলেন, ”বিজেপির বন্ধুরা মুড়ি খাবেন না? সব জিএসটি, রোগী ভর্তি হলেও জিএসটি, মরে গেলে কত জিএসটি? আমাদের মুড়ি ফেরাও, নইলে BJP বিদায় নাও। আমাদের ভাত ফেরাও নইলে বিজেপি বিদায় নাও। বিজেপির বন্ধুরা মুড়ি খাও না? গ্যাসের দাম কত? ডিজেলের দাম কত? মৃতদেহের খাট কিনতে গেলে কত GST? বাংলা থেকে সবথেকে বেশি কর আদায়। আজ টাকার দাম সবথেকে কম। অগ্নিপথে না হেঁটে সেনায় লোক নাও। পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাসের দাম বাড়ানো সরকার আর নেই দরকার”।

তিনি আরও বলেন, ”আজকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা, ৫ লাখ টাকার স্বাস্থ্যসাথি, কৃষি, শিল্প সবেতেই এগিয়ে বাংলা। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে ইনকামের দিক থেকে পশ্চিমবাংলা প্রথম। কৃষকদের রোজগারে বাংলা প্রথম। বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকার কমে গিয়েছে। জোর করে কারও ঘর ভাঙব না, জোর করে কারও জমি দখল করব না। সিলিকন ভ্যালি হচ্ছে। ৫০ হাজার আইটি জানা ছেলেমেয়ের ওখানে চাকরি হবে। আগামী ১০০ বছরে দেউচা হয়ে গেলে বাংলায় বিদ্যুতের অভাব হবে না। বিদ্যুতের দাম কমবে। আমরা বরং বিদ্যুৎ বেচতে পারব। দেউচা পাঁচামিতে ১ লাখ চাকরি হবে। তাজপুরে পোর্ট হচ্ছে, আরও ১২ হাজার চাকরি হবে”।

আরও পড়ুন: শহিদ দিবস ২০২২: অফলাইন শহিদ দিবসে যোগ দিতে লোকেলোকারণ্য ধর্মতলা

Advertisement

তিনি বলেন,  ”কাজ করতে গেলে ভুল হয়। কেউ যদি ইচ্ছে করে ভুল করে তাহলে তার শাস্তি সে পাবে। সিপিএমের আমলে ১০ লাখ ১৫ লাখ টাকায় এক একটা স্কুলের চাকরি বিক্রি হয়েছে। ছেলেরা পার্টি করবে বউরা চাকরি করবে। এই নিয়ে সিপিএম কাজ করত। আমরা চাই চাকরি হোক, BJP চাই চাকরি যাক। মানুষ চাকরি পাবে না এটাই চাইছে। BJP-এর দল মরুভূমি হয়ে গিয়েছে। ১৭ হাজার শিক্ষকের চাকরি তৈরি আছে। মামলার জন্য চাকরি দেওয়া যাচ্ছে না”।