বাংলার খবর
মালদার কার্বাইড দেওয়া আম চলছে রমরমিয়ে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সাধারণত জামাই ষষ্ঠী থেকে বাজার দখল করে মালদার আম। মালদার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই সময় আম পাঠাতে সক্ষম হন ব্যবসায়ীরা। ৩১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয় মালদায়। তবে এবার আবহাওয়া খামখেয়ালি পনা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আমের ফলন অনেকটাই কমে গিয়েছে। যার কারণে আম পাকাতে রাসায়নিক সার ব্যবহারের অভিযোগ উঠছে মালদার বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
এদিকে, আমের বাজার ধরতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ইথিলিন ও কার্বাইড দিয়ে কৃত্রিম উপায়ে দ্রুত কাঁচা আম অপরিপূর্ণ অবস্থায় গাছ থেকে আম পেরে সেগুলি ইথিলিন বা কার্বাইড দিয়ে প্যাকিং করা হচ্ছে। প্যাকিং করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আম পেকে যায়। মালদা আমের ক্ষেত্রেই জিআই ট্যাগ পেয়েছে লক্ষণভোগ, ফজলি ও হিমসাগর। প্যাকিং করার সময় এক শ্রমিক অসীম মন্ডল জানান কার্বাইড দিয়ে আম পাকানোর পর আম এখন বিহার, ঝাড়খণ্ডের দিকে যাচ্ছে। এই বাজার থেকেই প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ গাড়ি আম যাচ্ছে বাইরে। কাঁচা অবস্থাতে আম পেড়ে নিয়ে কার্বাইড দিয়ে পাকানো হয়। এই আমের তেমন কোনো স্বাদ পাওয়া যায় না বরঞ্চ ক্ষতি হয়। পাশাপাশি কার্বাইড দেওয়া আমে পেটের ক্ষতি করে।
অন্যদিকে, ২৬ থেকে ২৭ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে এই আম, যার স্বাদও প্রায় আলাদা। তবে গাছ পাকা আম আর কার্বাইড পাকা আমের স্বাদে রয়েছে অনেক ফারাক। জেলা উদ্যান বনদপ্তরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক জানান অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের আমের উৎপাদন অনেকটাই কম হয়েছে এখন বাজারে হিমসাগর, গোপালভোগ ল্যাংড়া আম উঠেছে এই বছর ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে।
এ বিষয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের সর্বোপরি প্রধান ডাক্তার অভিজিৎ সাহা জানান কার্বাইড দিয়ে পাকানো আমগুলি খেলে শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। এই আমগুলি খেলে শরীরে আলসার, লিভারের সমস্যা এমনকি ক্যান্সারও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই আম খাওয়া যাবেনা। কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম কোনমতেই খাওয়া উচিত নয়।