'দুয়ারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার', ফর্ম নিয়ে ইটভাটায় ছুটলেন মহাকুমা শাসক
Connect with us

বাংলার খবর

‘দুয়ারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, ফর্ম নিয়ে ইটভাটায় ছুটলেন মহাকুমা শাসক

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বাংলার মহিলাদের আরও বেশি করে স্বনির্ভর হিসেবে গড়ে তুলতে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে রাজ্যে নতুন প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakshmir Bhandar) চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শহর থেকে মফস্বল হোক কিংবা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল। ঘরে-ঘরে প্রতিটি নারী যাতে এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারেন তার জন্য ‘দুয়ারে সরকার’ ব্যবস্থাও চালু করেছে সরকার।

শুধু তাই নয়, এবার লক্ষীর ভান্ডারের ফর্ম হাতে নিয়ে ইটভাটায় ছুটতে দেখা গেল খোদ মহাকুমা শাসককে। কিন্তু কেন? গ্রামীণ এলাকার মহিলারাও যাতে রাজ্য সরকারের এই ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন সেই উদ্দেশ্যকেই সামনে রেখে প্রশাসনের এই পদক্ষেপ। জানা গিয়েছে, মালদার চাঁচলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায় তাঁর দফতর থেকে সটান বেরিয়ে পড়েন গ্রাম্য এলাকায় প্রকৃত লক্ষ্মীদের সন্ধানে।

শুধু তাই নয়, এলাকার ইটভাটায় গিয়ে সেখানকার মহিলা শ্রমিকদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। পাশাপাশি ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পে তাঁরা সকলে আবেদন করেছেন কিনা সেই বিষয়েও খোঁজখবর নেন তিনি এবং কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, যারা এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হতে পারেননি এদিন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন পত্র।

Advertisement

এছাড়াও যাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এখনও পর্যন্ত হয়নি তাঁদেরকে দ্রুত স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। শুধু তাই নয়, এদিন প্রশাসনের তরফে দেওয়া লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন পত্র পূরণ করে মহকুমা শাসকের হাতে তুলে দেন মহিলা শ্রমিকরা। আবেদনকারীরা যথাসময়ে প্রাপ্য ভাতা পেয়ে যাবেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

আরও পড়ুন: জমি বিবাদ নিয়ে সংঘর্ষ, বোমাবাজিতে উত্তপ্ত সামশেরগঞ্জ

জানা গিয়েছে, এদিনের কর্মসূচিতে চাঁচলের মহকুমাশাসক কল্লোল রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, চাঁচল ১ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সমিরন ভট্টাচার্য, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোজিৎ নস্কর ও সোমনাথ মান্না সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। অন্যদিকে,

Advertisement

এই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের বিষয়ে বলতে গিয়ে চাঁচলের মহকুমাশাসক কল্লোল রায় বলেন, ”অনেক শ্রমজীবি মহিলা আছেন, যাদের পক্ষে কাজ কামাই দিয়ে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে আসা প্রায় অসম্ভব। মহিলারা যাতে হাতের নাগালে সেই সুবিধা পায়,তাই ইট ভাটায় এই লক্ষ্ণীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম নিয়ে এসেছি।” প্রায় ২০ জন মহিলা শ্রমিক এই প্রকল্পে আবেদন করেছেন বলে জানান মহকুমা শাসক।

আরও পড়ুন: অসহায় অবলারা, ইউক্রেনের চিড়িয়াখানা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বন্যপ্রাণীদে

শুধু তাই নয় প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইটভাটার শ্রমিকরা। মানুষের জন্য সরকার যেন দুয়ারে এসেছে এমনটাই অনুভূতি হল বলে জানিয়েছেন ইটভাটার শ্রমিক আখতারী খাতুনরা।

Advertisement