দোল-হোলি উৎসব উপলক্ষ্যে মালদহে বাড়ছে হার্বাল আবিরের চাহিদা
Connect with us

বাংলার খবর

দোল-হোলি উৎসব উপলক্ষ্যে মালদহে বাড়ছে হার্বাল আবিরের চাহিদা

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: হাতে গোনা আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরেই শুরু হবে রঙের উৎসব হোলি। নানা রঙে ভরে উঠবে আকাশ-বাতাস। আর এই রঙের উৎসব শুরুর আগে থেকেই রং-আবিরের যোগানে ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে পুরাতন মালদার সাহাপুরের কালী তলার বিমল পালের।

জানা গিয়েছে, প্রায় ৩৫ বছর ধরে আবিরের তৈরি করে আসছেন বিমল পাল। তাঁর আবির তৈরির নিয়ে এলাকাতেও বেশ নামডাক হয়েছে তার। যদিও করোনার কারণে গত দু’বছর ধরে সেই আবিরের ব্যবসা শিখেই উঠেছিল। তবে চলতি বছরে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ঝিমিয়ে পড়তেই চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন বিমল পাল।

আবির তৈরির বিষয়ে তিনি বলেন, ” করোনার গতি কিছুটা স্তিমিত হয়ে যাওয়ায় প্রায় উঠে গিয়েছে সরকারি বিধিনিষেধ। যারফলে হোলিতে এ বছর আবিরের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। তবে চাহিদা মতো যোগান দিতে পারছি না।” হোলির এই কয়দিন আগে থেকেই দিনরাত এক করে তাঁর কারখানায় কাজ করে চলেছেন শ্রমিকরা। বিমল পাল আরও জানান, গত প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে তাঁদের এই ব্যবসা চলছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: সম্পত্তি হাতাতে ‘জীবিত বৃদ্ধাকে’ মেরে ফেললেন প্রতিবেশী, চাঞ্চল্য চন্দ্রকোনায়

করোনার সময় সেভাবে ব্যবসা তেমন হয়নি। সরকারি বিধিনিষেধ থাকার জন্য রং খেলাও সেভাবে হয়নি। তবে বর্তমানে স্কুল-কলেজ সব খুলে যাওয়ায় বেচাকেনাও আগের বছরগুলির তুলনায় বেশ ভালো বলে জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, হোলির ১৫ দিন আগে থেকেই নানা রঙের আবির তৈরির কাজ চলছে। তবে এবারে হার্বাল আবিরের বিক্রি বেশি। ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় পাঁচ থেকে ছয় কুইন্টাল হার্বাল আবির তৈরি করা হয়েছে। কিছু আবার ক্যালসিয়াম পাউডারের আবির বানানো হয়। রাসায়নিক ও বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি আবিরে চাহিদা কম। তাই চাহিদামত ভেষজ আবির তৈরি হচ্ছে কারখানায়।

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু

Advertisement

এক ধরনের পাউডার সাথে বিভিন্ন রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে আবির রং জলে মিশিয়ে রাখা হয় তারপর সেই রং পরিমানমতো পাউডারের সাথে মেশানো হয় রঙের সাথে পাউডার ভালো মেশানোর পর সুগন্ধি দেয়া হয়। আবিরের বিভিন্ন রকমের সুগন্ধি ব্যবহার করা হচ্ছে। গত দুই বছর করোনার সময় লোকসানের মুখে পড়েছিল এই ব্যবসা। তবে এবার পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক। বিক্রিবাট্টাও শুরু হয়ে গিয়েছে। তাইতো লাভের আশায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।