রান্নাবাটি
দোকানের মতো রসমালাই বানিয়ে ফেলুন এক্ষুনি

বেঙ্গল এক্সপ্রেসঃ যতই ঘরে অনেক যত্ন করে রসমালাই তৈরি করেন না কেন, ঠিক যেন দোকানের মত হয়ই না। সুন্দর হয়, খেতেও ভালো হয়। কিন্তু ঠিক দোকানের সেই স্বাদ যেন নেই। কেন জানেন? সেই কেনর জবাব নিয়ে এসেছি আমরা। দোকানের সাথে আপনার মূল পার্থক্য হচ্ছে উপাদানে আর তৈরি করার প্রক্রিয়া। শুনলে অবাক হবেন, দোকানের রসমালাই তৈরির রেসিপিটি কিন্তু ভীষণ সাধারণ। আসুন, জেনে নেই আজ।
উপকরণঃ
ডিম – ১টি।
বেকিং পাউডার – ১ চা চামচ।
গুঁড়ো দুধ – ১ কাপ।
ময়দা – ১ চা চামচ।
তরল দুধ –১ লিটার (প্রথমে উনুনে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে)।
চিনি – স্বাদমত।
এলাচদানা গুঁড়ো করা – ১ টি এলাচ।
গোলাপজল – ১/২ চা চামচ।
পেস্তা বাদাম কুচি সাজানোর জন্য।
প্রনালিঃ
১। একটা বড়ো ভারী এমন একটি পাত্রে চিনি আর তরল দুধ মিশিয়ে ফুটাতে দিন, সাথে এলাচদানা গুড়োটাও দিয়ে দিন। উনুনের বা গ্যাসের আচঁ খুব কম রাখুন।
২। এবার আরেকটি পাত্রে গুড়ো দুধ, ময়দা, বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিন, তারপর ডিমটি ফাটিয়ে এই মিশ্রণে মেশান। সাথে গোলাপজল দিয়ে দিন।
৩। সব একসাথে সুন্দর করে মিশিয়ে রসমালাই এর খামির বানান, প্রথমে খামির হাতের সাথে আটকে আটকে যাবে আঠালো হয়ে…কিন্তু ৩/৪ মিনিট রেখে দিলেই দেখবেন সুন্দর খামির হয়ে গেছে ।
৪। এখান থেকে এবার ছোট ছোট বল বানান। দেখবেন দুধে দেবার পর বলগুলো ফুলে দ্বিগুন হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- পটলের খোসা বাটা একঘেয়ে রান্নার স্বাদ বদলাতে বানিয়ে ফেলুন খুব সহজ পদ্ধতিতে
৫। এতোক্ষনে উনুনে দুধ ফুটে গিয়েছে, এই বল গুলো সাবধানে ফুটন্ত দুধের মাঝে ছেড়ে দিন। চামচ বা কিছু দিয়ে নাড়বেন না, ফুটতে দিন আরো কয়েক মিনিট। দেখবেন বলগুলো ফুলে উঠেছে। এখন, সর্বনিন্ম আচেঁ রাখুন।
৬। দশ মিনিট এভাবে কম আচেঁ রান্না করুন, মাঝে মাঝে পাত্রটি সাবধানে ধরে ঝাঁকিয়ে দিন, যাতে তলায় ধরে না যায়।
৭। দশ মিনিট পরে একটি মিষ্টি তুলে দেখুন ভিতরে সেদ্ধ হয়েছে কিনা। বেশি কাচাঁ থাকলে কম আচেঁ আরো কিছুক্ষন রান্না করূন, যদি সামান্য একটু কাচাঁভাব থাকে মিষ্টির ভিতরে তাহলে চুলা নিভিয়ে পাত্র ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন, ভেতরের তাপেই আরো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যাবে।
৮। তারপর ঠান্ডা করে পরিবেশন করূন রসমালাই, পরিবেশনের পূর্বে পেস্তা বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিন সাজানোর জন্য।