দেশের খবর
বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেশ ছাড়ার ইঙ্গিত মহুয়ার!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দেবী কালীকে নিয়ে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যে গোটা দেশে ঝড় উঠে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলা সহ অন্যান্য রাজ্যেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুকদার তাঁর গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন। তবুও দমতে রাজি নন নদীয়ার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। যাবতীয় বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলে বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, ‘আমি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করছি আমাকে ভুল প্রমাণ করে দেখাক।’
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এটা মহুয়ার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মত। তারপরই টুইটারে তৃণমূলের অফিসিয়াল পেজকে আনফলো করে দেন মহুয়া। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ফলো করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে নাম না করে মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়িয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই বিজেপির উদ্দেশ্যে তিনি এই পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।
একই সঙ্গে মহুয়া একটি ইঙ্গিতপূর্ণ টুইটও করেছেন। সেই টুইটে নদীয়ার সংসদে লিখেছেন, ‘আমি এমন ভারতে থাকতে চাই না যেখানে বিজেপি-র পিতৃতান্ত্রিক, ব্রাহ্মণবাদী হিন্দুত্বের অস্তিত্ব রয়েছে। ওরা এসব নিয়ে মাতামাতি করবে এবং আমরা ধর্মের চারপাশে সন্তর্পণে ঘুরব! যতদিন বাঁচব এর প্রতিবাদ করব। যতগুলো এফআইআর দায়ের করার করে নিন। দেশের প্রতিটি আদালতে আপনাদের সঙ্গে আমার দেখা হবে।’
বুধবার টুইটার থেকে তৃণমূলের অফিসিয়াল পেজকে আনফলো করে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফলো করার পর রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়ে যায়, তাহলে কি মহুয়া মৈত্র দল ছাড়ছেন? তবে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে মহুয়া বলেছিলেন, ‘আমি আমার দলের একনিষ্ঠ সৈনিক, বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফলো করি। আমি তাঁর দলে রয়েছি। আমি জানি না কোথায় কী বার্তা যাচ্ছে এবং তা কতটা যুক্তিযুক্ত।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মা কালী প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মহুয়া মৈত্র। এক তথ্যচিত্রের পোস্টারে দেখা গিয়েছে দেবী কালীর সাজে এক তরুণী ধূমপান করছেন। এই পোস্টার সামনে আসার পরই সর্বত্র হইচই পড়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে সেই বিষয়ে বলতে গিয়েই মহুয়া বলেন, ‘আমার কাছে কালী মানে যিনি মাংস ভক্ষণ এবং সুরা গ্রহণ করেন। নিজের ভগবানকে আপনি কীভাবে দেখতে চান, তা কল্পনা করার অধিকার সকলের রয়েছে। কিছু জায়গায় তো ভগবানকে হুইস্কি দেওয়া হয়, আবার কিছু কিছু জায়গায় তা ভগবানের অপমানের সমান।’ তাঁর এই মন্তব্যকে নিয়েই গোটা দেশে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।