দেশের খবর
জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক, দাম বাড়তে পারে ফ্রুটি-মাজার
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গরমে ঠাণ্ডা পানীয় দিয়ে গলা ভেজাতে কে না চাই। টানা রোদে বাইরে দরকারে-অদরকারে কাজে বেরিয়ে মনচাই একটু ঠাণ্ডা পানীয়ে চুমুক দিতে।
যেমন ভাবা তেমনই কাজ। গরমে মনের শান্তি আর শরীর জুড়তে অনেকেই কিনে ফেলেন ফ্রুটি-মাজার মতো জুসের ছোটা প্যাক। কিন্তু এই ছোটা প্যাক খাওয়ার দিন বোধহয় শেষ হতে চলেছে। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী জুলাই মাস থেকে ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দ্রব্য নিষিদ্ধ করতে চলেছে। যারফলে উঠে যেতে পারে স্ট্রর ব্যবহার।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের কাজে আমরা যে সমস্ত প্লাস্টিকের কাপ-বাটি, চামচ, গ্লাস, স্ট্র ব্যবহার করে থাকি সেগুলি সবই আগামী ১ জুলাই থেকে সারাদেশে ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দিতে চলেছে সরকার। যার কারণে, অদূর ভবিষ্যতে প্লাস্টিকের স্যাসে পাওয়া ১০-১৫ টাকার সফট ড্রিংকসগুলি বিক্রি বন্ধ করে দিতে পারে এই প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি।
আরও পড়ুন: অনলাইনে প্রতারণার ফাঁদ! গ্রাহকদের সতর্ক করছে RBI
দেশের বাজারে বিভিন্ন ধরণের সফট ড্রিংকসগুলির মধ্যে মূলত ফ্রুটি, মাজা, স্লাইস, আমুল লস্যি, ট্রপিকানা ১০ টাকা দামের ছোট প্যাক বাজারজাত করে। এর সঙ্গে একটি স্ট্রও দেওয়া হয়, যাতে গ্রাহকেরা জুস পান করতে পারেন। কিন্তু এখন যেহেতু এই রকম স্ট্র ব্যান হতে চেলেছে। তাই কোম্পানিগুলি তার বদলে অন্য কোনও অপশন পাচ্ছে না। যারফলে মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে বাজারে নাও পাওয়া যেতে পারে ১০ টাকার মাজা,ফ্রুটির ছোটা প্যাক।
সূত্রের খবর, দেশের বাজারে প্লাস্টিকজাত এই স্ট্রর ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যায় পড়বেন এই সফট ড্রিংকস প্রস্তুতকারক বহু সংস্থা। এদিকে প্লাস্টিকের স্ট্রর বিকল্প হিসেবে কাগজের স্ট্র ব্যবহারের অপশন থাকলেও এই ধরনের স্ট্রগুলি সাধারণত চিন, ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। যারফলে খরচও বেড়ে যাবে অনেক। এই অবস্থায় মনে করা হচ্ছে, বাজার থেকে ১০ টাকার ছোটো প্যাকেটগুলি উঠিয়ে নিতে পারে সফট ড্রিংকস কোম্পানিগুলি। অথবা বেড়ে যেতে পারে নরম এই পানীয়ের দাম।
এই বিষয়ে কী বলছে মাজা-ফ্রুটি প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলি- ফ্রুটি ব্র্যান্ডের মালিক পক্ষ Parle Agro সরকারের কাছে এই নিষেধাজ্ঞা আরও ৬ মাস পিছিয়ে দিতে আহ্বান করেছে। কোম্পানির সিইও এস. চৌহান বলেছেন, ”আপাতত এই নিষেধাজ্ঞা পিছিয়ে গেলে প্যাকেজিং সংস্থাগুলি অভ্যন্তরীণভাবে কাগজের স্ট্র তৈরির জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে পারবে।”
আরও পড়ুন: দেশের রেললাইনকে নিশানা আইএসআই-এর, সতর্ক করল গোয়েন্দারা
উল্লেখ্য, বর্তমানে ডাবর, পারলে এগ্রো, কোকা কোলা এবং পেপসিকোর মতো কোম্পানিগুলি সারা দেশে প্রতি বছর প্রায় ৬ বিলিয়ন প্লাস্টিকের স্ট্র-সহ প্যাক বিক্রি করে। মোট যে পরিমাণে এই কোম্পানিগুলির বিক্রি হয়, তাঁর প্রায় ৬০ শতাংশ বিক্রি হয় এই ছোট প্যাকগুলি। ফলে এই স্ট্র বিক্রি বন্ধ হলে, ধাক্কা খাবে কোম্পানির বিক্রিও।