বাংলার খবর
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেই রাজ্যসভায় গেলেন লুইজিনহো ফেলেইরো

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিরোধীরা প্রার্থী না দেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হলেন তৃণমূলের লুইজিনহো ফেলেইরো। সোমবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। ভোট হওয়ার কথা ছিল আগামী ২৯ তারিখ।
কিন্তু কোনও প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী। গত মাসেই গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। পরে তাঁকে দলের অন্যতম সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়। তার মধ্যেই অর্পিতা ঘোষ নিজের রাজ্যসভা আসনে ইস্তফা দেন। উপনির্বাচনে সেই আসনেই ফেলেইরোকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রেক্ষিতে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রস্তুতি নিতে বলে দেন লুইজিনহোকে।
গোয়ায় বর্তমানে বিজেপির সরকার। ত্রিপুরার পাশাপাশি গোয়াকেও পাখির চোখ করে লড়াইয়ে নেমেছে তৃণমূল। লুইজিনহো সাংসদ হওয়ায় গোয়ার পরিস্থিতি দিল্লিতে জানানোর সুযোগ আরও বেশি করে পেয়ে গেল তৃণমূল। লুইজিনহো যদিও সোমবার তাঁর শংসাপত্র নিতে পারেননি। ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সাংসদ থাকবেন ফেলেইরো। গোয়ায় সংগঠনকে মজবুত করতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করছেন তৃণমূলের শীর্ষনেতারা। সেই তালিকায় যেমন নাম করা খেলোয়াড়রা আছেন তেমন রয়েছেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী, সংগীত শিল্পীরা।
সম্প্রতি দেশের কিংবদন্তি টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ, বলিউডের প্রখ্যাত গায়ক লাকি আলি ও প্রাক্তন সাঁতারু তথা অভিনেত্রী নাফিসা আলি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এবার সেই রাজ্যেরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যসভায় পাঠাল তৃণমূল। উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে ভোট ফেব্রুয়ারি মাসে। পঞ্জাব থেকে কোনও প্রতিনিধি রাজ্যসভায় পাঠানো যায় কিনা, তা নিয়েও তৃণমূলের অন্দরে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে শোনা যাচ্ছে। পঞ্জাবের কোনও ভূমিপুত্র তথা হেভিওয়েট কাউকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর।