বাংলার খবর
পঞ্চায়েত প্রধান লটারির টিকিট বিক্রেতা! সৎ পথে থাকার বার্তা তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: যাদের কিছুদিন আগেই অভাবের সংসার ছিল, কিন্তু রাজনীতিতে যোগ দিয়েই রাতারাতি তাদের বিশাল সম্পত্তি, অট্টালিকার মালিক বনে যাওয়া, ঠাটবাটের বেড়ে যাওয়ায় উদাহরণ এবং অভিযোগ এই রাজ্যে ভুরিভুরি আছে। সেখানে কিছুটা ব্যতিক্রমী হারান দাস। খাতায় কলমে তিনি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার হাদিপুর জিকরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হলেও লটারি বিক্রি করেই সংসার চালান।
লটারির টিকিট বিক্রিই তাঁর একমাত্র পেশা। গত ৩০ বছর ধরে দেগঙ্গার হাদিপুর জিকরা পঞ্চায়েত অফিসের সামনেই লটারির টিকিট বিক্রি করেন হারান দাস। সেই টিকিট বিক্রি করে যে কয়েকটা টাকা আয় হয়, সেই দিয়েই সংসার চালান। পঞ্চায়েতের কাজকর্ম সেরে সকালে ও সন্ধ্যায় যেটুকু সময় পান তাতেই পঞ্চায়েত অফিসের সামনে টেবিল পেতে লটারির টিকিট বিক্রি করেন তিনি। উত্তর ২৪ পরগনায় লটারির টিকিট কেনার ভালোই চল রয়েছে। তাই হারান দাসেরও ব্যবসা ভালোই চলে।
তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত থেকে যে ভাতা পান, তাতে ঠিকমতো সংসার চলে না। সেই কারণেই লটারির ব্যবসা করেন। হারান দাস বলেছেন, ‘পঞ্চায়েত থেকে পাওয়া ভাতায় ঠিকমতো সংসার চলে না। তাই বাড়তি রোজগারের জন্য অন্য পেশার কথা ভাবতে হয়েছে। এই মুহূর্তে অন্য কোনও কাজ করার মতো সুযোগ নেই। তাই লটারির টিকিট বিক্রি করি। আমি তৃণমূল করি। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সততার প্রতীক। তাই সৎপথে থেকেই রোজগার করছি। অনেকে এই নিয়ে আমার সঙ্গে মজা করে। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কাজ করতে হবে, খেটে খেতে হবে। সংসারও চালাতে হবে। তাই এইভাবে সৎ পথে থেকেই বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিতে চাই।’