বাংলার খবর
গোয়ালতোড়ে মাটির তলা থেকে উদ্ধার প্রচুর বন্দুক ও গুলি!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পশ্চিম মেদিনীপুরে মাটির তলা থেকে উদ্ধার প্রচুর পরিমাণে বন্দুক ও গুলি! এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য! প্রশ্ন এত বন্দুক ও গুলি কোথা থেকে এল! বুধবার গোয়ালতোড় থানার অন্তর্গত বড়ডাঙ্গা গ্রামের প্রায় একশোটিরও বেশি বন্ধুক এবং এক হাজারের ওপর কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোয়ালতোড় সহ জঙ্গলমহল সংলগ্ন জেলা গুলিতে ছড়িছে চাঞ্চল্য। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার-সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী। সম্পূর্ণ এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে গ্রামের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বুধবার দুপুর একটা নাগাদ গ্রামের রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে জেসিবি দিয়ে মাটি কাটার সময় হঠাৎই একটি বন্দুকের নল দেখতে পাওয়া যায়। তারপরেই একটু একটু করে বেরিয়ে আসে একের পর এক বন্দুক। সেই সঙ্গে বেরোতে থাকে কার্তুজ। এর পর মাটির তলা থেকে একশোর কাছাকাছি দোনলা বন্দুক বস্তাবন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ছাড়াও প্রায় হাজার খানেক কার্তুজও উদ্ধার হয়। ওই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দেখে চক্ষু চড়কগাছ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই বিপুল পরিমান অস্ত্র ভান্ডার দেখে স্থানীয় মানুষরাই খবর দেয় গোয়ালতোড় থানায়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে গোয়ালতোড় থানার পুলিশ বিষয়টি দেখার পর সঙ্গে সঙ্গে জেলা পুলিশ সুপারকে খবর দেয়। জেলা পুলিশ সুপার বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। যদিও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। অনুমান করা হচ্ছে এই বন্দুক এবং কার্তুজ বছর পনেরো কুড়ি আগেই মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। আর এই অস্ত্র উদ্ধারের পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির অভিযোগ, এক সময় এখানে মাওবাদী এবং সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী সক্রিয় ছিল। তারাই এই অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিল। গোটা ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। যদিও সিপিএমের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনার জন্য বিজেপি এবং তৃণমূলের ওপরই দায় চাপানো হয়েছে।