বাংলার খবর
কমিশন ভবন থেকে বাজেয়াপ্ত প্রচুর নথি ও হার্ডডিস্ক, নিজাম প্যালেসে হাজিরা তিন মামলাকারীর
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা হাইকোর্টে গড়াতেই এসএসসি ভবনের সমস্ত ডেটা রুম সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকি সল্টলেকে এসএসসি ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল সিআরপিএফ-এর হাতে। জানা গিয়েছে, এসএসসি ভবনের সেই সিল করা ঘরগুলোতে গত শনি ও রবিবার, দু’দিন ধরে ম্যারাথন তল্লাশি চালানোর পর প্রচুর নথি, ফাইল এবংআট থেকে দশটি হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছে সিসিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত করা ওই হার্ডডিস্ক গুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে ইডি’ও। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছ থেকে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য এবং দায়ের হওয়া এফআইআর-এর চারটি কপি চেয়ে পাঠিয়েছে ইডি। বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলেই ধারণা ইডি-এর। সেই টাকা কার কাছ থেকে নিয়ে কোথায় পৌঁছল, তা খতিয়ে দেখবে ইডি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, দু-একদিনের মধ্যেই সব নথি দেওয়া হবে ইডিকে। কীভাবে এই মামলা রুজু করা হবে, কীভাবে এই মামলার তদন্তে হবে, সেই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইডি।
এদিকে, সোমবার সকালে নিজাম প্যালেসে এসে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সিবিআই-এর হাতে জমা দিয়ে গেলেন তিন মামলাকারী। সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সমস্ত নথিপত্র নিয়ে সিবিআই-এর দফতরে হাজিরা দেন অনিন্দিতা বেরা, দীপঙ্কর মান্না এবং মিলন দাস। তারা বেশ কিছুক্ষণ সেখানে ছিলেন। জানা গিয়েছে, তাঁদের জমা দেওয়ার নথির মধ্যে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া সংক্রান্ত নথিপত্রও রয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, নবম ও দশম শ্রেণীর দুর্নীতির মামলার মামলাকারী ববিতা সরকার ও অনিন্দিতা বেরা এবং গ্রুপ ‘ডি’ নিয়োগ মামলায় মামলাকারী সাবিনা ইয়াসমিনকেও ডাকা হয়েছিল এদিন।
সোমবার নন্দিতা হাজিরা দিলেও সাবিনা এবং ববিতা আসেননি। তাঁরা আগামী বুধবার হাজিরা দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। এই ববিতা সরকারই অঙ্কিতার বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। এবং এই মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি চেয়ে সিবিআই-এর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই টেলিফোন মারফত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছিলেন ববিতা। তদন্তের গভীরে পৌঁছতেই মামলাকারীদের থেকে সিবিআই এই সমস্ত নথিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রয়োজনে, মামলাকারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে।