এক মন্ত্রী-সহ প্রাক্তন দুই বিধায়কের লেটারহেডে চাকরির সুপারিশ! আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ
Connect with us

বাংলার খবর

এক মন্ত্রী-সহ প্রাক্তন দুই বিধায়কের লেটারহেডে চাকরির সুপারিশ! আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়। নিজেদের লেটারহেডে নাম লিখে প্রাথমিকে চাকরি প্রার্থীর জন্য সুপারিশের অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসক দলের তিন বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে। এইরকমই তৃণমূলের তিন নেতার প্যাডে লেখা চিঠি আদালতের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, চাকরির প্রার্থীদের দীর্ঘতালিকা তৈরি করে সুপারিশ করেছেন তৃণমূলের তিন বিধায়ক। সেই তালিকায় নাম রয়েছে রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী অখিল গিরি, বলাগড়ের প্রাক্তন বিধায়ক অসীম মাঝি এবং বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের। জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে এই মামলা দায়ের হয়েছে।

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের দাবিতে ২০১৪ সালেই মামলা দায়ের হয়েছিল। সম্প্রতি প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একটি জনস্বার্থ মালাও দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে চিঠিগুলো তুলে দেওয়া হয়। মামলাকারীর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি চিঠিগুলো আদালতের কাছে তুলে দিয়েছেন। এই মামলার শুনানি ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।

কিছুদিন আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২২ জনের নাম সুপারিশ করেছিলেন রাজ্যের বর্তমান মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। বিরোধী দলনেতার সেই দাবিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে অখিল গিরি বলেছিলেন, সেই ২২ জনের নাম সামনে এলেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে, তাঁদের নাম কে সুপারিশ করেছিল। এই বিতর্কের মধ্যেই অখিল গিরি সহ তৃণমূলের দুই প্রাক্তন বিধায়কের লেটার হেডে চাকরির সুপারিশের চিঠি জমা পড়ল হাইকোর্টে।

Advertisement

২০১৪ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালে। পরীক্ষার প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৬ সালে। এবং দ্বিতীয় বিধাতালিকা প্রকাশ হয় ২০১৭ সালে। সেখানে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয় হাইকোর্টে। সম্প্রতি দ্বিতীয় মেধা তালিকায় নাম থাকা ২৬৯ জন পরীক্ষার্থীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআই-এর হাতেও তুলে দিয়েছেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশের পর ২০১৪ সালে পরীক্ষা দেয়ার সমস্ত পরীক্ষার্থীর নথি জোগাড়ে তৎপর হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।