Uncategorized
হাসি শুধু আনন্দের বহিঃপ্রকাশ নয়! হাসির আরও অনেক উপকারিতা আছে
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মন খুলে যে সকল মানুষ হাসতে পারেন তাঁরা মানসিক ভাবে সুস্থ্য। পাশাপাশি শারীরিক দিক থেকেও সুস্থ থাকেন বেশি। মানুষের হাসিতে একটা বিশেষ কিছু আছে। বলা যেতে পারে ইতবাচক অনুরণন- যার মাধ্যমে তার আশেপাশের মানুষগুলি সতেজ হয়ে ওঠে।
শুধু তাই নয়, এছাড়াও হাসির নানান উপকারিতা আছে। যেমন মানুষের রক্তনালীর ভিতরে যেসব টিস্যু সংযোগ স্থাপন করে তারা প্রসারিত হয় হাসির সময়। আর এতে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায়। হাসি মানুষের হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে। হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা অনেকাংশে কম হয়। মানুষের মুখের হাসি অনেক অপ্রিয় পরিস্থিতিকেও সামলে দেয়। সামাজিক সম্পর্ক বা বন্ধন দৃঢ় করা সম্ভব এই হাসির দ্বারা। হাসিতে ক্ষতি কিছু হয় না। কিন্তু একটু হাসি লাভ দেয় প্রচুর। যখন আমরা হাসি তখন মস্তিষ্কে হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়, তাই সেখানকার আবেগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কার্যক্রমে বেশি গতি সঞ্চারিত হয়।
সেরোটোনিন ও এন্ডোফিন নামের হরমোন মানুষের মেজাজ ভালো রাখে এবং মানসিক সকল চাপ ও যন্ত্রনা কমায়। মানুষের দৈনন্দিন জীবন সমস্যায় জর্জরিত। সব মানুষের জীবনেই কিছু না কিছু সমস্যা, দুঃখ, কষ্ট, উদ্বেগ রয়েছেই। কিন্তু একমাত্র হাসি পারে এই সকল রকম সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে মানুষের মনে শান্তি ফেরাতে। হাসি শ্বাসতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। কারণ যখন আমরা হাসি তখন অক্সিজেন গ্রহণের হার বেড়ে যায়। এরফলে স্বাসকষ্টের মতো রোগ থেকেও মুক্তিলাভ সম্ভব। বর্তমানে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা যার যত বেশি সে ততই নিশ্চিন্ত।
আপনি কি জানেন, এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বৃদ্ধি পায় হাসির মাধ্যমে! যে মানুষ হাসে না তার প্রতি কেউই বিশেষ আকৃষ্ট হয় না। কিন্তু যে মানুষ প্রাণ খুলে হাসে স্বাভাবিক ভাবেই তার প্রতি আকৃষ্ট হতে সময় লাগে না। মানুষের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠা যায় হাসির মাধ্যমেই। বর্তমানকালে মানুষ সামাজিক, পারিবারিক নানান পরিস্থিতির চাপে কোথাও হাসতে ভুলে গিয়েছে। কিন্তু এই হাসিই পারে মানসিক-শারীরিক উভয় দিক থেকেই সুস্থ রাখতে। মানুষের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব হাসির মাধ্যমেই। তাই সারাদিনের কিছু সময় আমাদের হাসা ভীষণ জরুরী।