দেশের খবর
পশুখাদ্য মামলায় বড় স্বস্তি! জামিন পেলেন লালু

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পশুখাদ্য মামলায় বড় স্বস্তি পেলেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। শুক্রবার ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় লালুপ্রসাদের জামিন মঞ্জুর করেছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ডোরান্ডা ট্রেজারি সংক্রান্ত পঞ্চম পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল ৭৩ বছর বয়সী বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। এই মামলায় লালুকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। পাশাপাশি ৬০ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করেছিল। ডোরান্ডা ট্রেজারি থেকে বেআইনি ভাবে ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় দেশের এই প্রবীণ রাজনীতিবিদকে। ১৯৯৬ সালে এই কেলেঙ্কারিতে মামলা দায়ের করে সিবিআই। ১৭০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে শুক্রবারই প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের জামিন মঞ্জুর করে ঝাড়খণ্ড আদালত। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় লালুর পাঁচ বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হলেও ইতিমধ্যে তিনি ৪১ মাস জেলে কাটিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও উচ্চ আদালতের নির্দেশ আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে নিম্ন আদালতে জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে। খুব শীঘ্রই লালুর বন্দি দশার মুক্তি মিলবে বলে মনে করছে বিহার রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: জম্মু কাশ্মীরে এনকাউন্টার: সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ নেতা
গত 8 এপ্রিল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় লালু প্রসাদ যাদবের দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে কারাবন্দি নেতার দায়ের করা আবেদনের শুনানি পিছিয়ে দেয়। জানা গিয়েছে, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ডোরান্ডা কোষাগারে প্রায় ১৩৯ কোটিরও বেশি অর্থ আত্মসাৎের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এই নিয়ে পঞ্চম পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় রাঁচির একটি বিশেষ সিবিআই আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করে।
প্রসঙ্গত, দেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলা এটি। এই মামলায় লালু প্রসাদ যাদব-সহ মোট ৭৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল CBI-এর বিশেষ আদালত। এর আগে, দুমকা, দেওঘর, চাইবাসা ট্রেজারির মামলায় লালুকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ৯৫০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: গান্ধীদের দেশে বরিস জনসন, ভারতের মাটিতে পা দিয়েই বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান নিয়ে বড় ঘোষণা
এ নিয়ে ৫৩টি মামলা দায়ের করে সিবিআই। চয়বাসা ট্রেজারি থেকে ৩৭.৭ কোটি এবং ৩৩.১৩ কোটি, দেওঘর ট্রেজারি থেকে ৮৯.২৭ কোটি এবং দুমকা ট্রেজারি থেকে ৩.৭৬ কোটি তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। এই মামলায় জেলও খাটেন লালু।। তবে দুমকা, দেওঘর, চায়বাসা ট্রেজারির চারটি মামলায় জামিন পেয়েছেন লালু প্রসাদ। ডোরান্ড মামলায় লালু সহ বাকিদের বিরুদ্ধে ১৭০ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দিয়েছিল CBI। লালু প্রসাদ ছাড়াও প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ শর্মা, PAC চেয়ারম্যান ধ্রুব ভগৎ, প্রাণীপালন দফতরের সচিব বেক জুলিয়াস, প্রাণীপালন দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ড. কে এম প্রসাদ ওই মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে বলা হয়েছে।