বাংলার খবর
কথা রাখলেন কৃষ্ণ কল্যাণী, বিশেষভাবে সক্ষম শিশুকে হুইলচেয়ার দিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মানুষের বিপদে পাশে গিয়ে দাঁড়ানোটা যেন অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবী কৃষ্ণ কল্যাণী। বিধায়ক হওয়ার অনেক আগে থেকেই যখনই মানুষের সমস্যার কথা শুনেছেন তখনই ছুটে গিয়ে তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এবার অসুবিধার কথা শুনেই বিশেষভাবে সক্ষম কিশোরের চলাফেরা করার জন্য হুইলচেয়ার তুলে দিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। আর বিধায়কের কাছ থেকে হুইলচেয়ার পেয়ে দুস্থ ও বিশেষভাবে সক্ষম শিশু রানা দেবনাথের পরিবারও খুশী। শনিবার রায়গঞ্জের কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের মেহেন্দি গ্রামে বিশেষভাবে সক্ষম রানা দেবনাথের বাড়ি গিয়ে হুইলচেয়ার তুলে দিলেন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।
গত ২৭ জুন ‘বিধায়ক আপনার দরজায়’ কর্মসূচি পালন করতে কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের মেহেন্দি গ্রামে গিয়েছিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। সেদিনই তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা পেশায় এক মজুরের বিশেষভাবে সক্ষম সন্তানের দুর্দশার কথা জানতে পারেন। রানা দেবনাথের মা সোমা দেবনাথ বিধায়ককে কাছে পেয়ে ছেলের চলাফেরা করার জন্য একটি হুইলচেয়ারের আবেদন করেছিলেন। সেদিনই তাঁকে তাঁর আবেদন রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। প্রতিশ্রুতি মতো শনিবার রানা দেবনাথের বাড়িতে গিয়ে হুইলচেয়ার তুলে দিলেন তিনি।
বিধায়কৃষ্ণ কল্যাণী কথা রাখায় খুশি ওই কিশোরের মা সোমা দেবনাথ। তিনি বলেছেন, ‘আমার ছেলে জন্মগত প্রতিবন্ধী। গত ১৩ বছর ধরে ও কথা বলতে পারেনা। নিজের হাতে খাওয়া তো দূর, কোনও কাজই করতে পারেনা। আমাকেই সবকিছু করে দিতে হয়। ওর বাবা সামান্য রাজমিস্ত্রির কাজ করে। সেই কাজ না থাকলে যা কাজ পায় তাই করে। আজ আমাদের বাড়িতে বিধায়ক এসেছিলেন। ছেলেকে একটা হুইলচেয়ার দিয়েছেন। খুবই ভালো লাগছে। আমি ওঁর কাছে আবেদন করেছিলাম যাতে আমার ছেলে একটু চলাফেরা করতে পারে তার ব্যবস্থা করে দিতে। উনি আমাকে কথা দিয়েছিলেন। সেইমতো আজ উনি আমাদের বাড়িতে এসে ছেলেকে একটি হুইল চেয়ার দিয়েছেন। আমরা ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’
বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেছেন, ‘গত ২৭ জুন বিধায়ক আপনার দরজায় কর্মসূচিতে এই এলাকায় আমি এসেছিলাম। আমি বিধায়ক হিসেবে গত এক বছরে কী কাজ করেছি, তার কর্মলিপি লিফলেটের মাধ্যমে মানুষের দরজার দরজায় প্রদান করেছি। এখানকার স্থানীয় সমস্যার কথাও শুনেছি। যে সমস্যাটা তাৎক্ষণিক সমাধান করা সম্ভব, সেটাও করেছি। এখানে বিশেষভাবে সক্ষম রানা দেবনাথের মা আমার কাছে আবেদন করেছিলেন একটা হুইল চেয়ারের জন্য। আমি কথা দিয়েছিলাম যে দ্রুত হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করব। শুক্রবারই আমি কলকাতা থেকে ফিরেছি। তাই আজ এখানে হুইল চেয়ার প্রদান করতে এসেছিলাম। ভবিষ্যতেও যদি কোনও সমস্যা হয়, আমি তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।’