বাংলার খবর
মাধ্যমিকে ভালো ফল করায় বিশেষভাবে সক্ষম চিরঞ্জিতাকে ট্যাব উপহার কৃষ্ণ কল্যাণীর

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শারীরিক প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় অভূতপূর্ব ফল করেছে রায়গঞ্জের মিলন পাড়ার বাসিন্দা চিরঞ্জিতা বোস। সংবাদমাধ্যমে তার সাফল্যের কথা শুনেই বাড়িতে গিয়ে চিরঞ্জিতাকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি সংবর্ধিত করলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। উপহার স্বরূপ তার হাতে ফুল, মিষ্টি ও একটি ট্যাব তুলে দেন রায়গঞ্জের বিধায়ক।
চিরঞ্জিতার বাবা চিন্ময় বসু পেশায় বেসরকারি গাড়ির চালক। মা গৃহবধূ। ছোট থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম চিরঞ্জিতা। স্বাভাবিকের তুলনায় তার উচ্চতা অনেকটাই কম। বাবার সামান্য আয়ে কোনও রকমে চলে সংসার। কিন্তু এর মাঝেও নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিল চিরঞ্জিতা। করোনাকালে মনোযোগ সহকারে অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষিকা ও গৃহ শিক্ষকদের সহায়তায় এবারে মাধ্যমিকে ৮০ শতাংশের উপর নম্বর পেয়ে পাশ করেছে সে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৬৩। ৪টি বিষয়ে রয়েছে লেটার মার্কস। ইতিমধ্যেই নিজের টার্গেট সেট করে ফেলেছে চিরঞ্জিতা। ভবিষ্যতে সে আইএএস অফিসার হতে চায় বলে জানিয়েছে।
চিরঞ্জিতার এই সাফল্যে খুশি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তাকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে তার পড়াশোনায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। কৃষ্ণ কল্যাণী বলেছেন, ‘আজ আমি চিরঞ্জিতার বাড়িতে এসেছিলাম। সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি চিরঞ্জিতা বিশেষ ভাবে সক্ষম। মাধ্যমিকে সে খুব ভালো ফলাফল করেছে। ৫৬৩ নম্বর পেয়েছে। বিশেষভাবে সক্ষম হলেও ও খুব ভালো রেজাল্ট করেছে। সাফল্য পেয়েছে। ওর সঙ্গে কথা বললাম। আগামী দিনে ও আইএএস অফিসার হতে চায়। আমার শুভেচ্ছাবার্তা রইল। আজ আমি ওকে একটা ট্যাব উপহার দিয়েছি। যা আগামী দিনে ওকে পড়াশোনায় সাহায্য করবে। আমার অনেক শুভেচ্ছা রইল চিরঞ্জিতাকে। ভবিষ্যতেও আমরা ওর পাশে থাকব। সার্বিক সাহায্য করব।’
বিধায়কের কাছ থেকে এই আশ্বাস এবং উপহার পেয়ে উচ্ছ্বসিত চিরঞ্জিতা। সে বলেছে, ‘আজ বিধায়ক আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। উনি আমাকে একটি ট্যাব ও মিষ্টির প্যাকেট উপহার দিয়েছেন। সেইসঙ্গে পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন। সেই জন্য উনাকে এবং সংবাদমাধ্যমকে অনেক ধন্যবাদ। কারণ, সংবাদমাধ্যম থেকেই উনি আমার কথা জানতে পারেন। তারপরই আজ বাড়িতে এসে উনি আমাকে শুভেচ্ছা জানান। এবং উপহার দিয়েছেন। সেই সঙ্গে যত দূর পড়াশোনা করতে চাই তার জন্য আমাকে সব রকম ভাবে সহায়তা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। খুব ভালো লাগছে।’