লাইফ স্টাইল
ত্বককে তরতাজা রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন কিশমিশ, কমবে উচ্চ রক্তচাপও

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ‘কিশমিশ’ চার অক্ষরের ছোটো এই ড্রাইফুড জাতীয় খাবার খেতে কে-না পছন্দ করে। প্রতিদিন না হোক বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠানে কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবারে এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তবে এটি সাধারণত পাকা আঙুর শুকিয়েই তৈরি করা হয়।
আকারে বড় বা লম্বা এক প্রকারের আঙুর পাওয়া যায়, সেটি শুকিয়ে তৈরি হয় মুনাক্কা। আবার বেগুনি রঙের এক প্রকার আঙুর পাওয়া যায়, সেটিকে বলে ব্লুবেরি।কিন্তু সবগুলোই একই প্রজাতির। তবে বেগুনি বা কালো আঙুলের গুনগতমান অধিক। এটিতে সামান্য ইউরিক অ্যাসিড আছে।
আরও পড়ুন: সঙ্গমের আগে এড়িয়ে চলুন এই কটি খাবার
আঙুরে প্রোটিন, ফ্যাট,কার্বোহাইড্রেটস, ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম,ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন এ,বি,সি,কে,প্রভৃতি পাওয়া যায়। ত্বককে তরতাজা, উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
বলা ভালো, শুধুমাত্র পায়েস, মিষ্টিতে নয়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দু’চারটে কিশমিশ রাখলে মিলবে দারুণ ফল। কেননা, আঙুর বা এই কিশমিশ বয়সের ছাপ রোধ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও ক্ষয়রোগ,কাশি, স্মৃতিভ্রম রোগ, মূত্রকৃচ্ছ্রতা, রক্তপিত্ত, হৃদরোগ, প্রভৃতি রোগ দূর করতে এর ভূমিকা অপরিসীম।
আয়ুর্বেদে ভ্রমরোগ নাশক বলা হয়, সেক্ষেত্রে এটি অ্যালঝাইমার্স ,ডিমেনশিয়া,মস্তিষ্ক বিকৃতি প্রভৃতি রোগে ব্যবহার করা যেতে পারে। বাচ্চাদের পক্ষে কিশমিশ খুবই উপকারী। কিশমিশ বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: গরমে প্রতিদিন পাতে থাকুক টক দই, উপকার পাবেন নিমেষে
কিশমিশ সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পরে ,ঐ জল সকালে খালি পেটে খাওয়া ও ভীষণ ভালো। তাহলে আর দেরী কেন? আজ থেকেই একটু একটু করে শুরু করে দিন শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে কিশমিশ খাওয়া।