লাইফস্টাইল
সিজারিয়ান মায়েদের পুষ্টিকর খাবারের তালিকা! ও কী কী খাওয়া যাবে না
বিশেষ করে সিজারিয়ান প্রসবের পরে, শরীরের পুনরুদ্ধার এবং শক্তি পুনরায় অর্জনের জন্য কিছু খাবার এড়ানো এবং কিছু নির্দিষ্ট খাবার অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন
ডেলিভারির পর মায়েদের কী কী খাওয়া যাবে না এবং পুষ্টিকর খাবারের তালিকা ডেলিভারির পরবর্তী সময়ে মায়েদের জন্য সঠিক পুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সিজারিয়ান প্রসবের পরে, শরীরের পুনরুদ্ধার এবং শক্তি পুনরায় অর্জনের জন্য কিছু খাবার এড়ানো এবং কিছু নির্দিষ্ট খাবার অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
ডেলিভারির পর যা খাওয়া উচিত নয়:
- অ্যালকোহল
- এটি স্তন্যপান করানো শিশুর জন্য ক্ষতিকর এবং হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- ক্যাফেইন
- চা বা কফি অতিরিক্ত পরিমাণে পান করলে শিশুর ঘুমে সমস্যা হতে পারে।
- তৈলাক্ত ও মসলাযুক্ত খাবার
- এগুলো হজমে অসুবিধা করতে পারে এবং গ্যাস বা অ্যাসিডিটি বাড়াতে পারে।
- অ্যালার্জিজনক খাবার
- অতীতে যেসব খাবার অ্যালার্জি সৃষ্টি করেছে, সেগুলি এড়ানো উচিত।
- কাঁচা বা কম রান্না করা খাবার
- মাছ বা মাংসের ক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে চলা ভালো, কারণ এতে জীবাণু থাকতে পারে।
ডেলিভারির পর যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত:
1. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
- মাছ, মুরগি, ডিম, টোফু, ডাল, বাদাম।
- প্রোটিন ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে এবং শরীরের কোষ পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখে।
2. শাকসবজি ও ফলমূল
- গাজর, পালং শাক, মিষ্টি আলু, কাঁঠাল, কমলালেবু।
- এগুলো ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার সরবরাহ করে।
3. পুরো শস্য
- ওটস, ব্রাউন রাইস, পুরো গমের রুটি।
- এগুলো শরীরে দীর্ঘক্ষণ এনার্জি ধরে রাখতে সহায়ক।
4. দুগ্ধজাত খাবার
- দুধ, দই, পনির।
- ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন সরবরাহ করে।
5. স্বাস্থ্যকর চর্বি
- অ্যাভোকাডো, বাদাম মাখন, তিলের তেল।
- এটি শক্তি জোগায় এবং হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
6. তরল জাতীয় খাবার
- পানি, ফলের রস, দুধ।
- পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং স্তন্যপানকারীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
সিজারিয়ান মায়েরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠার টিপস:
- প্রথমে হালকা তরল খাবার দিয়ে শুরু করুন।
- ধীরে ধীরে শক্ত খাবার যোগ করুন।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং খাবার সময়মতো গ্রহণ করুন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য তালিকা অনুসরণ করুন।
সঠিক পুষ্টি মায়ের ক্ষত দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করে এবং শিশুর সুস্থ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই খাবারের মধ্যে বৈচিত্র্য রাখুন এবং খাবার উপভোগ করুন। এই পরামর্শগুলো অনুসরণ করে সিজারিয়ান মায়েরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন এবং নবজাতকের সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারবেন।