দেশের খবর
সময়ের আগে কেরলে ঢুকছে বর্ষা, বঙ্গে কবে…
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বৈশাখের শেষলগ্নে দফায়-দফায় বৃষ্টিতে মিলেছে কিছুটা স্বস্তি। মৌসম ভবন বলছে আন্দামান সাগরে ঘণীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ। যারফলে এবার নির্ধারিত সময়ের আগেই শুরু হবে বৃষ্টি।
বৃষ্টি নিয়ে বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য কেরলকে আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছে মৌসম ভবন। জানা গিয়েছে যে, চলতি মরশুমে নির্ধারিত সময়ের ৪ দিন আগে কেরল রাজ্যে ঢুকছে বর্ষা। যারফলে অকাল বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণের এই রাজ্য। সেইসঙ্গে কেরল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর হাত ধরে বাংলাতেও শুরু হবে বর্ষার ঘনঘটা।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাসে রবিবার কেরলের ৬টি জেলার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোচির বেশ কয়েকটি অংশ জলমগ্ন হওয়ায় রাজ্যের পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আইএমডি যে ছয়টি জেলার জন্য ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে সেই জেলাগুলি হল- কোল্লাম, পাঠানামথিট্টা, আলাপুজা, এর্নাকুলাম, ইদুক্কি এবং কোচি।
আরও পড়ুন: নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মানিক সাহা
রাজ্যের রাজধানী তিরুবনন্তপুরমেও মঙ্গলবার থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য ছয়টি জেলার সঙ্গে তিরুবনন্তপুরমও কমলা সতর্কতার আওতায় পড়বে বলে জানানো হয়েছে।
Kerala | The Indian Metrological Department (IMD) has issued a warning of heavy rainfall in the state for the next five days due to strong westerly winds in the Arabian Sea.
An orange alert has been issued by IMD in six districts of the state https://t.co/Kc6JJMd025
— ANI (@ANI) May 15, 2022
কমলা সতর্কতা হিসেবে এক দিনে ২০৪ মিমি পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতকে বোঝায়। এদিন এক বিবৃতিতে আইএমডি জানিয়েছে, রবিবার এই জেলাগুলিতে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে এবং বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৪০ কিলোমিটারের মতন সেই সঙ্গে হতে পারে বজ্রপাত।
বৃষ্টির পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের সমস্ত জেলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছে কেরল সরকার। শনিবার সন্ধ্যায়, মুখ্যসচিব ভিপি জয় প্রশাসনের সমস্ত দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি এক বৈঠকে বসেন। সেখান থেকে তিনি প্রত্যেক জেলা কালেক্টরদের অতিবৃষ্টিতে কী কী করনীয় সেই বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতেই টুইট বার্তায় শুভেচ্ছা মোদি-যোগী, শাহ-বিপ্লব দেবের
শুধু তাই নয়, উপকূলবর্তী এই রাজ্যে বৃষ্টির আগাম সতর্কতা হিসেবে ত্রাণ শিবির চালু করা হয়েছে। কারণ প্রয়োজনে ভূমিধস ও বন্যাপ্রবণ এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে। জলাবদ্ধ এলাকা থেকে জল পাম্প করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকার লোকজনকে যাতায়াত এড়াতে বলা হয়েছে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পক্ষ থেকে পর্যটকদের তারা যেখানেই থাকুন না কেন পার্বত্য অঞ্চলে ভ্রমণ না করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যৌতুক দানে না, ছাদনাতলায় কনেকে ফেলে চলে গেল বর
আইএমডি পূর্বাভাস দিয়েছে যে, রবিবার দক্ষিণ আন্দামান সাগর, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে বর্ষা ঢুকবে।