দেশের খবর
কর্ণাটক হাইকোর্টের নির্দেশ, হিজাব মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে কোনও ধর্মীয় পোশাক পরে আসা যাবে না

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: হিজাব মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্কুল-কলেজে কোনও ধর্মীয় পোশাক পরে আসা যাবে না। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ আগামী সোমবার।
প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থির নেতৃত্বে তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে এ দিন জানিয়েছেন, কর্ণাটকের সমস্ত স্কুল-কলেজ খোলা হলেও যেহেতু বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন, তাই পড়ুয়ারা কোনরকম ধর্মীয় পোশাক পরে কলেজে প্রবেশ করতে পারবে না। সেই নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, হিজাব বা গেরুয়া ওড়নার মতো কোনও কিছু দিয়ে মুখ ঢেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারবেন না পড়ুয়ারা। সেইসঙ্গে পড়ুয়াদের সঙ্গে চরম সংযম বজায় রেখেই আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সংবাদমাধ্যমকেও আরও সতর্ক হয়ে সংবাদ পরিবেশনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত বলেছে, ‘মাথায় স্কার্ফ পরা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে কি না তা বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে এটি ধর্মীয় অনুশীলনের অংশ কি না তাও বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।’ গত কয়েকদিন ধরেই হিজাব বিতর্কে উত্তাল সারা দেশ। এই বিতর্ক প্রথম সৃষ্টি হয় কর্ণাটকে। কর্ণাটকের একটি স্কুল ছাত্রীদের হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যা নিয়ে গোটা দেশে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য। আন্দোলনের পথে নামেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা হিজাব পরে স্কুল এবং কলেজে আসার পক্ষেই আওয়াজ তুলেছেন। ওপর দিকে অন্যপক্ষ হিজাব নিষিদ্ধ করার পক্ষে পথে নামে। বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে মামলা গড়ায় কর্ণাটক হাইকোর্টে। কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন কোর্ট যা নির্দেশ দেবে সেই মতোই সরকার চলবে। কিন্তু দেখা যায় এই হিজাব বিতর্ক কর্ণাটক ছাড়িয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিজাবের সমর্থনে পথে নামে বহু মানুষ। এরপর মামলা হয় সুপ্রিমকোর্টে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট সেই মামলা খারিজ করে এবং কর্ণাটক হাইকোর্টের দিকে ঠেলে দেয়।