বাংলাদেশের পাঠানো বৈধ ওষুধই দেওয়া হচ্ছে কাঁথি হাসপাতলে , গতবছর ভারতকে ওষুধ পাঠিয়েছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র
Connect with us

দেশের খবর

বাংলাদেশের পাঠানো বৈধ ওষুধই দেওয়া হচ্ছে কাঁথি হাসপাতলে , গতবছর ভারতকে ওষুধ পাঠিয়েছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। এই ঘটনা সামনে আসতেই গত মঙ্গলবার শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য জুড়ে। কিন্তু রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের তৈরি ওই ওষুধ কেন্দ্রীয় সরকারই পাঠিয়েছে রাজ্যকে। বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকেই ওই ওষুধগুলো পাঠিয়েছিল। তাই কোনও বেআইনি ওষুধ দেওয়া হয়নি। ওই ওষুধগুলো সম্পূর্ণ বৈধ বলেই জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

জানা গিয়েছে, করোনা অতিমারির সময়ে দেশে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের অভাব দেখা দেওয়ায় গত বছরের মে মাসে দুই দফায় বাংলাদেশ সরকার অ্যান্টিবায়োটিক সহ ১৭টি ওষুধ ভারত সরকারকে দান করেছিল। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব সংস্থা এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড সেই ওষুধগুলো তৈরি করেছিল। শুধু বাংলাদেশ নয়, সেই সময় আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, সিঙ্গাপুর, পর্তুগাল, নিউজিল্যান্ড, মরিশাসের মতো দেশও সেই সময় ওষুধ পাঠিয়ে ভারতকে সাহায্য করেছিল।

আরও পড়ুন – পরিকল্পিত দুর্যোগ তৈরি করছে কেন্দ্রীয় সরকার, তোপ মমতার

Advertisement

সেই সময় বাংলাদেশের পাঠানো ওষুধগুলো গত বছরের জুন মাসে রাজ্যকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর রাজ্যের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর থেকেই গত ৫ ও ৭ জুন ওই ওষুধগুলো নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা অনেক রোগীকেই প্রেসক্রিপশন দেখে বাংলাদেশের পাঠানো ডক্সিসাইক্লিন নামক অ্যান্টিবায়োটিকের স্ট্রিপ দেয় হাসপাতাল। ওই ওষুধের পাতার গায়ে বাংলা হরফে লেখা ছিল, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ, ক্রয় বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয়’। ওষুধ তৈরির বা মেয়াদ শেষের তারিখও উল্লেখ করা ছিল না। আর তাতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই ঘটনায় রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে জাল ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।’ অথচ তিনি জানতেনই না, তাঁর দল বিজেপি চালিত কেন্দ্রীয় সরকারই রাজ্য সরকারকে এই ওষুধগুলো পাঠিয়ে ছিল। এবং বাংলাদেশের সেই ওষুধগুলো সম্পূর্ণ বৈধ।

আরও পড়ুন – নবম দশম শিক্ষক নিয়োগ মামলাতেও CBI তদন্তের নির্দেশ

Advertisement