বাংলার খবর
SSC সহ ১০টি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি হরিশ টন্ডন

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে SSC সহ দশটি মামলার বিচার থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন। আজ SSC মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল হরিশ টন্ডনের বেঞ্চে। কিন্তু তার আগেই এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। তবে কেন তিনি এই মামলা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তার কারণ হিসেবে স্পষ্টভাবে কিছুই জানাননি তিনি। জানা গিয়েছে, SSC, গ্রুপ C এবং গ্রুপ D মামলা এছাড়াও নবম ও দশমের শিক্ষক নিয়োগের মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি সহ দশটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা। স্কুল কমিশনের দুর্নীতি নিয়ে শান্তিপুর সিনহা সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি। শান্তি প্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই । পরে অবশ্য ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে রেহাই দেয়। বাকি চারজন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন। তখনই হরিশ টেন্ডনের ডিভিশন জানিয়ে দেয় ধারাই মামলা শুনবেন না।
অন্যদিকে, উপচার্যকে ঘেরাও করে গালিগালাজ এবং হুমকির অভিযোগে তৃণমূলের বহিষ্কৃত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে গ্রেফতার করল টেকনো থানার পুলিশ। রবিবার তাকে সল্টলেক নিউটাউন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: উপাচার্যকে হুমকির জের, পুলিশের জালে বহিষ্কৃত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল
জানা গিয়েছে, উপাচার্যের ঘরে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও অভিযোগ ওঠে ‘চড় মারব’ বলেও হুমকি দিয়েছিল ওই ছাত্রনেতা। এই ঘটনার যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ওই যুবক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ইউনিট প্রেসিডেন্ট হিসেবেই পরিচিত। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে যে, বেশ কিছুদিন আগেই ধৃত ওই ছাত্র নেতাকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করেন উপাচার্য মহম্মদ আলি।
আরও পড়ুন: জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া, প্রতিবাদে পথে তৃণমূল
অভিযোগ এরপরই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় সে। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে উপাচার্যকে। বিদ্যাঙ্গনের মতো এমন জায়গায় খোদ উপাচার্যের গায়ে হাত তোলা হচ্ছে! ঘটনার নিন্দায় সরব বুদ্ধিজীবী মহল। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কীভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে উপাচার্যকে। প্রকাশ্যে যে ধরনের অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তার নিন্দা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।