খেলা-ধূলা
জয় অধরাই থেকে গেল, এগিয়ে গিয়েও চেন্নাইনের সঙ্গে ড্র রয় কৃষ্ণদের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শনিবারও জয় অধরা থেকে গেল! চলতি আইএসএল-এ টানা তিন ম্যাচে আটকে গেল এটিকে মোহনবাগান। শুরুতে গোল করে এগিয়ে গিয়েও চেন্নাইন এফসি-এর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। গত দু’ম্যাচে যেভাবে মুড়ি-মুড়কির মতো গোল হজম করতে হয়েছিল, তাতে শনিবারও বাগান ডিফেন্স নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কা ছিল। কিন্তু চোট সারিয়ে তিরি ফিরতেই ছন্দে ফিরল হাবাসের রক্ষণ।
যা এটিকেএমবি কোচের কাছে বড় স্বস্তির। কিন্তু তারপরও অস্বস্তি রয়েই গেল। দলের দুই তারকা ফরোয়ার্ডের পায়ে গোল কই! এই নিয়ে তিন ম্যাচে গোলহীন থেকে গেলেন ‘গোল মেশিন’ রয় কৃষ্ণ এবং হুগো বামোস। টুর্নামেন্টের শুরুটা দারুণ করলেও দলের দুই তারকার এই নিয়ে তিন ম্যাচে গোল না পাওয়াটা বাগানের স্প্যানিশ কোচের চিন্তা বাড়িয়ে দিল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। অথচ এদিন ম্যাচের ১৮ মিনিটেই লিস্টন কোলাসোর গোলে এগিয়েও গিয়েছিল এটিকেএমবি। কোমানের একটি মিসপাস ধরে ফেলেন মনবীর সিং। সেখান থেকে বল যায় কৃষ্ণের কাছে। গোলের দিকে দৌড়চ্ছিলেন লিস্টন কোলাসো। মাঝমাঠ থেকে চেন্নাইনের ডিফেন্স চেড়া রয় কৃষ্ণার দুরন্ত থ্রু থেকে চলতি বলেই চমৎকার শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লিস্টন। এই মরসুমে এই নিয়ে ৩ গোল করার পাশাপাশি একটা অ্যাসিস্টও করেছেন লিস্টন।
তবে গোল হজম করেও দমে যায়নি টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত অপরাজেয় থাকা চেন্নাইন। এদিন চেন্নাইনের মাঝমাঠ দুরন্ত খেলল। বাগানের আক্রমণ সামলে চেন্নাইন এত দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে আসছিল যে, চাপে পড়ে যাচ্ছিলেন জনি কাউকো, আশুতোষ, প্রীতম কোটালরা। ভালো কিছু শট বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার অমরিন্দরও। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষের দিকে পাল্টা আক্রমণে এসেই ১-১ করে ফেলেন মিডফিল্ডার ভ্লাদিমির কোমান। অনিরুদ্ধ থাপার থ্রো-ইন থেকে বল পেয়ে লুকাস পাস বাড়ান ভ্লাদিমির কোমানকে। বল পেয়েই ডান পায়ে শট নেন কোমান। অমরিন্দর ঝাঁপিয়েও কিছু করতে পারেননি। এটিকে মোহনবাগান ডিফেন্স এদিন এই একটাই ভুল করেছিল। আর তারই খেসারত দিতে হল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু গোলের সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু একটাও কাজে লাগাতে পারলেন না হাবাসের সৈনিকরা।
৪৮ মিনিটে রয় কৃষ্ণের থেকে পাওয়া পাসে হুগো বোমোসের শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। ৬২ মিনিটে কর্নার থেকে গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন জনি কাউকো। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। সেই ভাবে সাপোর্ট না পাওয়ায় এদিনও গোল করতে পারলেন না কৃষ্ণ। তবে এই ড্রয়ের জন্য হাবাসকেও দায়ী করছেন অনেকে। ছন্দে না থাকা বোমাসকে ৮০ মিনিট পর্যন্ত কেন হাবাস মাঠে রেখে দিলেন, বিরতির পরেই ডেভিড উইলিয়ামসকে নামিয়ে ম্যাচ জেতার চেষ্টা কেন করলেন না, তা কারও বোধগম্য হল না। এই ড্রয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে ছয়েই থেকে গেল এটিকেএমবি। আর ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এল চেন্নাইন।