বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েই রাজ্য সহ-সভাপতির পদ পেলেন জয়প্রকাশ মজুমদার
Connect with us

রাজনীতি

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েই রাজ্য সহ-সভাপতির পদ পেলেন জয়প্রকাশ মজুমদার

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : জল্পনার অবসান। মঙ্গলবার তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির বহিষ্কৃত নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। আর দল বদল করেই পেয়ে গেলেন পদ। ঘাসফুল শিবিরে এসে রাজ্য কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন জয়প্রকাশ। তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি করা হল তাঁকে। দল বিরোধী কার্যকলাপের কারণে তাঁকে আগেই সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছিল রাজ্য বিজেপি।

তারপর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে প্রকাশ্যে একের পর এক দল বিরোধী মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল জয়প্রকাশ মজুমদারকে। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন তিনি। তখন থেকেই তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও তখন প্রতিবারই তিনি দাবি করেছিলেন, দলের নীতির বিরুদ্ধে কিছু বলা মানেই দল ছাড়া নয়। সোমবার জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু, রিতেশ তেওয়ারির মতো বিক্ষুব্ধ নেতাদের মান ভাঙানোর শেষ চেষ্টা করতে বৈঠকে বসেছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তারপরও জয়প্রকাশ মজুমদারকে ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে হঠাৎই জয়প্রকাশ মজুমদার হাজির হতেই জল্পনার অবসান হয়ে যায়।

এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে দলবদলে হ্যাটট্রিক করলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। ২০১৪ সালে রাজ্যে বিজেপির উত্থানের সময় ধুঁকতে থাকা কংগ্রেস ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এবার ফুল বদল করে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি। শুধু তিনিই নন, তাঁর পুত্রও সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘উনি এর আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন। দলে কাজ করতে গেলে মতানৈক্য হতেই পারে। তাঁকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু উনি বোঝেননি।

Advertisement

এটা সম্পূর্ণ উনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। প্রয়োজনের সময় দলকে ছেড়ে চলে যাওয়ায় এটা প্রমাণিত হয়, উনি প্রকৃত বিজেপি ছিলেন না। তবে ওঁর চলে যাওয়ায় দলের কোনও ক্ষতি হবে না। কেউ যদি ভাবে দলে কোনও পদ নেই মানে কোনও কাজ নেই এবং আগামিদিনে কোনও কাজ হবে না, তা ঠিক নয়। আমি মনে করি যাঁরা দলের কথা ভাববেন তাঁরা দল থেকে যাবেন না। যাঁরা দুর্দিনে দলের পাশে থাকে সুদিনে তাঁরাই দলের সৈনিক। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত কার্যসিদ্ধির জন্য গিয়েছেন।’

Continue Reading
Advertisement