বাংলার খবর
ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রামে পূর্ণ বয়স্ক হাতির মৃত্যু
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আবারও পূর্ণ বয়স্ক হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটল জঙ্গলমহলে। এবার ঝাড়গ্ৰাম জেলার নয়াগ্ৰামের কুকড়াখুঁপি এলাকায় এক হাতির দেহ উদ্ধার হল। বন দফতর সূত্রে খবর, মৃত পুরুষ হাতিটির বয়স আনুমানিক ১০ থেকে ১২ বছর। স্থানীয় বাসিন্দা সুমন সাহু জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে কুকড়াখুঁপি গ্রামের ধান জমির পাশে হাতিটিকে মৃত অবস্থায় দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বন দফতরে খবর দিলে বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে হাতির দেহটি উদ্ধার করে। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর। তবে জঙ্গলমহলে বার বার হাতি মৃত্যুর ঘটনায় যথেষ্ট চিন্তিত পশু প্রেমীরা। অন্যদিকে হাতির আক্রমণ থেকে ফসলকে বাঁচাতে প্রায়ই জঙ্গল লাগোয়া চাষিদের মাঠে বৈদ্যুতিক তার ঘিরে রাখার অভিযোগ উঠেছে। যার জন্য হাতি থেকে মানুষের মৃত্যুর খবরও পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সেরকম কিছু ঘটেছে কিনা তা তদন্ত করে জানার চেষ্টা করছে বন দফতর এবং পুলিশ প্রশাসন। খড়্গপুর ডিভিশনের ডিএফও শিবানন্দ রাম জানিয়েছেন, ‘গোটা বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে হাতিটির কীভাবে মৃত্যু হয়েছে। দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আনা হয়েছে।
ময়না তদন্তের পর বোঝা যাবে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে আমাদের একটি দল খোঁজ খবর নিচ্ছে কেন বার বার হাতির মৃত্যু হচ্ছে। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।’ এর আগেও চাঁদাবিলা এলাকায় পূর্ণ বয়স্ক একটি দাঁতাল হাতির মৃত্যু হয়েছিল বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে। চাষের ফসল বাঁচানোর জন্য বিদ্যুৎ তারের বেড়ার কারণে। একই ভাবে হাতির জন্যে দেওয়া বিদ্যুৎ তারে মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির। সেই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু এবারে মৃত্যুর কারণ এখন মেলেনি। ধোঁয়াশা রয়েছে। কিন্তু যে ভাবে জঙ্গলমহল জুড়ে হাতির আনা-গোনা, তা নিয়ে চিন্তা বেড়ে চলেছে বন দফতরের। আগে বছরে ৪ মাস হাতি থাকত এই এলাকার জঙ্গল গুলোতে। কিন্তু বর্তমানে সারা বছর হাতির দল থাকছে। যার ফলে ক্ষতি যেমন হচ্ছে, ঠিক তেমনই মানুষ ও হাতির প্রাণ সংশয় বেড়ে চলছে।