দীপাবলিতে বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাদের গোবরের তৈরি প্রদীপে আলোকিত হবে জলপাইগুড়ি
Connect with us

বাংলার খবর

দীপাবলিতে বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাদের গোবরের তৈরি প্রদীপে আলোকিত হবে জলপাইগুড়ি

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: এবার দীপাবলিতে গোবরের তৈরি প্রদীপে আলোকিত হবে জলপাইগুড়ি। তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে প্রদীপ তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্নরা। সামনেই দীপাবলী। মাটির প্রদীপকে টেক্কা দিতে জলপাইগুড়ি শহরে এই প্রথম গোবর দিয়ে প্রদীপ তৈরী করছেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মহিলা ও পুরুষেরা।

বিভিন্ন রঙের আধুনিক নকশায় তৈরি হচ্ছে গোবরের প্রদীপ। শুক্রবার থেকেই খোলা বাজারে বিক্রি হবে গোবরের প্রদীপ। জলপাইগুড়ি পুরসভার সেনপাড়ার ‘স্বপ্নতোরণ’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সদস্যরা জোর কদমে তৈরি করছেন গোবরের প্রদীপ। এই কাজের জন্য তাঁরা মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহার করছেন ঘুটে। ঘুটে কিনে তাকে গুঁড়ো করে প্রথমে প্রদীপ তৈরির মাটি মাখার মতো মেখে নেওয়া হচ্ছে। এরপর তাতে মেশানো হচ্ছে আঠা, গোচনা, ঘি-সহ অন্যান্য জিনিস। এরপর আধুনিক নকশার ছাঁচের মাধ্যমে চলছে পরিবেশ বান্ধব প্রদীপ তৈরি।

‘স্বপ্ন তোরণ’ সংগঠনের সম্পাদক দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেছেন, তাঁরা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের স্বনির্ভর করার কাজ করে থাকেন। এর আগে তাঁদের কয়েকজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মহিলা সদস্য গোবরের ধূপকাঠি বানিয়ে অনেকটাই সাফল্য পেয়েছিল। তাই এবছর গোবরের প্রদীপ বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেহেতু বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষরা বেশি বাইরে যেতে পারেন না, তাই অর্ডার দিলেই ঘরে বসে ঘুটে পেয়ে যাচ্ছেন। তা দিয়ে সহজেই এই ধরনের প্রদীপ বানাতে পারবেন। তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেছেন, ‘গোবরকে সনাতন ধর্মে পবিত্র হিসেবে মনে করা হয়। এছাড়া এই গোবরের প্রদীপগুলোর দু’টো ব্যবহার আছে। মাটির প্রদীপ তৈরির ক্ষেত্রে মাটিকে পোড়াতে হয়। ফলে ব্যবহারের পর এই প্রদীপ গুলোকে ফেলে দিতে হয়।

Advertisement

কিন্তু গোবরের প্রদীপগুলো ব্যবহারের পর সেগুলোকে সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া, গোবর পরিবেশবান্ধব। এতে পরিবেশ দূষণ হবে না। সেই কারণেই আমরা গোবর দিয়ে প্রদীপ বানানোর পরিকল্পনা করেছি।’ সম্প্রতি দশ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মহিলার হাতে সংগঠনের পক্ষ থেকে দশটি মেশিন তুলে দেওয়া হয়। বাড়িতে বসেই এই প্রদীপ বানাবেন এবং বাজারে বিক্রি করবেন। এই কাজের ফলে বিশেষ ভাবে সক্ষম এই মহিলারা ঘরে বসেই দিনে তিনশো থেকে পাঁচশো টাকা পর্যন্ত উপার্যন করতে পারবেন। মূলত দু’ধরনের প্রদীপ তৈরি করা হচ্ছে। ছোট সাইজের দাম রাখা হবে ৫ টাকা এবং বড় সাইজের প্রদীপের দাম রাখা হয়েছে ৮-১০ টাকা। রুমকি সেন নামে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এক মহিলা জানিয়েছেন, ‘আমরা প্রদীপ পিছু এক টাকা করে মজুরি পাব। এতে আমাদের খানিকটা বাড়তি আয় হবে। তা আমরা সংসারের কাজে লাগাতে পারবো।’

Continue Reading
Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.