বাংলার খবর
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পুলিশের ASI-এর

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পুলিশ অফিসার। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্তের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার দুপুর ২.৪৫ মিনিট নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার থানার ক্রান্তি ফাঁড়ির এ এস আই গোপাল চন্দ্র রায় এক পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। এরপর দ্রুত আহত পুলিশ অফিসার গোপাল চন্দ্র রায়কে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অপরদিকে মৃত এ এস আইয়ের বাড়ি ধূপগুড়ি থানার ভাঙানি গ্রামে বলে জানিয়েছেন দাদা ভুপাল রায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, লোক মারফত খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এসে দেখি ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে কি কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে শনিবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি সুপার মার্কেট চত্বরে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে ছয়টি খাবারের হোটেল। হোলির দিন সন্ধ্যায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শহর জুড়ে। এদিন সন্ধ্যায় হোটেল গুলোতে আগুন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ ও দমকলের একটি ইঞ্জিন। অগ্নিকাণ্ডের জেরে হোটেলগুলোতে থাকা কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার পরপর বিস্ফোরণ হয় বলে জানা গিয়েছে। দমকল বাহিনী ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় প্রায় ৫০ মিনিট পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে কি কারণে আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন দখলে মরিয়া পুতিন, প্রতিরক্ষা ধ্বংস করতে হাইপারসনিক মিসাইল ছুঁড়ছে রাশিয়া
এদিকে বছর পেরোতে না পেরোতেই ফের আগুন শুশুনিয়া পাহাড়ে।শনিবার সন্ধ্যা থেকেই শুশুনিয়া পাহাড়ের একাংশ দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে। গতবছরও আগুন লেগে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে ছিল এলাকায়। গতবছরও পাহাড়ের চুড়ায় কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয় যার ফলে একাধিক গাছপালা ও বন্য জন্তুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। আর তার কয়েক মাস পরেই সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
আরও পড়ুন: সেতুর নিচে পড়ে থাকা বস্তা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের, চাঞ্চল্যকর কাণ্ড উত্তর দিনাজপুরে
তবে কে বা কারা আগুন লাগালো তা নিয়ে দ্বন্দ্বে বন দফতরের আধিকারিকরা। তবে স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, দোল উৎসব উপলক্ষ্যে পাহাড়ে আগত পর্যটকরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি উপস্থিত হয় বনদফতরের আধিকারিক, কর্মীসহ ছাতনা থানার পুলিশ। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখার তীব্রতা এতটাই যে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বনকর্মীদের। ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন আসে। তবে পাহাড়ের একেবারে ঊর্ধ্বাংশে আগুন লাগায় ফিরে যেতে হয় দমকল বাহিনীকে। তবে এই আগুন লাগার ঘটনায় প্রচুর গাছপালা ও জীবজন্তুর ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বনকর্মীরা।