এই খাবারগুলো খেলে সহজেই ওজন কমানো সম্ভব!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আমরা প্রত্যেকেই কম-বেশি সকলেই ফিগার নিয়ে সচেতন। সকলেই চায় সুন্দর ও আকর্ষণীয় চেহারা। কিন্তু অনেক সময় চেয়েও মনের মতো ফিগার আমরা পাই না। বিশেষত যাঁরা ভোজনরসিক হন, তাঁদের পক্ষে সত্যিই ডায়েট মেইনটেইন করাটা একটু কঠিন হয়ে যায়।

আবার অন্যদিকে একটু বেশি অনিয়ম করলেই শরীরে জমে যায় অবাঞ্চিত মেদ। কিন্তু কয়েকটি খাবার যদি আমরা আমাদের খাদ্য তালিকা বা খাবারের চার্টে রাখতে পারি তাহলে ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করাটা খুব কঠিন ব্যাপারও না। যেমন, প্রাতঃরাশটা ভারী হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। দিনের শুরুটা ভারী কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে এমন খাবার খাওয়াটাই উচিত। কিন্তু কী খাবো, সেটা অনেক সময়ই বুঝে উঠতে পারি না। বয়স্কোরা বলে থাকেন সকালে খেতে হয় রাজার মতো। কিন্তু কী খেলে পেটও ভরবে আবার ওজনও ননিয়ন্ত্রণে থাকবে, সেটাই বোঝা দায়ের। এক্ষেত্রে ওটস ভীষণ ভালো খাবার টিফিন হিসাবে। এতে থাকে প্রচুর ফাইবার। ওটসের খিচুড়ি করে খেতে পারেন, আবার দুধ দিয়েও খাওয়া যেতে পারে।

যার যেমন খুশি যতটা খুশি খেতে পারেন। ওটস দিয়ে আরও অনেক ধরণের খাবার বানানো যায়। শুধু মাথায় রাখতে হবে, ওটস দিয়ে বানানো কোনও খাবারে তেল যেন অতিরিক্ত না ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া, বিভিন্ন ধরণের সব্জি দিয়ে বানানো স্যুপ যেমন স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে, তেমনি ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ভালো কার্যকরী। সব্জিতে থাকা নানান পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরে যায়। দুপুরে খাবার আগে এই স্যুপ খেলে ২০ শতাংশ পেট ভরে যায়। তখন বেশি খাবার আর খাওয়া যায় না। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার ফাইবার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলেও ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।

মটরশুঁটি, ছোলা, মুসুরডাল ইত্যাদি খাবারে থাকে অনেক পরিমানে ফাইবার ও প্রোটিন। এই ধরনের ফাইবার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে পেটও ভরে, শরীরও পুষ্টি পায়। কিন্তু ওজন থাকে ঠিক। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরণের মরশুমী ফলে থাকে ভিটামিন সি, ফাইবার ও ফ্ল্যাভেনয়েড। এই মরশুমী ফল খেয়ে পেট ভরালে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল আবার ওজন থাকবে একদম নিয়ন্ত্রণে। এর সঙ্গে আরও একটা খাবার যা খেলে শরীর ও ফিগার দুইই থাকবে ভালো, সেটা হল সবুজ সব্জি দিয়ে প্রস্তুত এক প্লেট স্যালাড। খাবারের সাথে এক প্লেট এই স্যালাড খেলে ফিগার থাকবে সঠিক। তাহলে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।